নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১২, ২০২৫
০৪:২৭ পূর্বাহ্ন

আপডেট : এপ্রিল ১২, ২০২৫
০৫:২৭ অপরাহ্ন

মোটরসাইকেল পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির জেরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা দিপুর হামলায় সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হক আজিজসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আজিজ গুরুতর আহত আজিজের মাথায় ১৮টি সেলাই লেগেছে। এ ঘটনার বদলা নিতে দিপুর বাসায় হামলা করতে গিয়ে এলাকাবাসীর ধাওয়ার শিকার হওয়া স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীর ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের শিকার হয়েছে। 

জানা গেছে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে সিলেট ল’ কলেজের সামনে মোটরসাইকেল পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্যসচিব আজিজুল হক আজিজের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মী অপুর বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর দিপু লোকজন নিয়ে আজিজের উপর হামলা চালান। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আজিজের মাথায় আঘাত করেন। এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় আজিজকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় ১৮টি সেলাই লাগে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। ছাত্রলীগ নেতা দিপু আওয়ামী লীগ নেতা বিধান কুমার সাহার গ্রুপের অনুসারি।

 এ ঘটনার খবর পেয়ে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি মোটরসাইকেল নিয়ে মাছিমপুর গিয়ে দিপুর বাসায় হামলা চালায় । এসময় এলাকাবাসী জড়ো হয়ে তাদের ঘিরে ফেললে তারা সেখানে ৩১টি মোটরসাইকেল ফেলে রেখে সরে পড়েন। এসময় এলাকাবাসী সবকটি মোটরসাইকেলে ব্যাপক ভাংচুর চালান।

এ ঘটনার খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নগরের উপশহর পয়েন্টে রোজভিউ হোটেলের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এসময় তাদের শান্ত করতে সেখানে যান সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, শামীম আহমদসহ বিএনপি নেতারা। কয়েস লোদী যখন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন এসময় সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে এলে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে মাছিমপুরে ঘটনাস্থলে যায়। পরে ভাঙচুরের শিকার ৩১টি মোটরসাইকেল পিকআপ যোগে পুলিশ লাইনে পাঠায় সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সিলেট মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, সাবেক সেচ্ছাসেবক দল নেতা আজিজের সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটেছে ও মটর সাইকেল ভাংচুর হয়েছে। এটা সিলেটের রাজনীতির জন্য মেটোও শুভনীয় নয়। যারা এ কাজ করেছে তারা জুলাই আগষ্টের ছাত্র জনতার আন্দোলনের মামলার আসামী। ছাত্রলীগ নেতা দিপু ও মন্জুসহ কয়েকজন মামলার আসামী থাকা সত্যেও প্রশাসন আইনের আওতায় নিয়ে আসতে না পারায় এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যারা এঘটনাটি ঘটিয়েছে  তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানানা তিনি।

এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ওপর হামলার ঘটনায় ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি।

এএফ/০১