নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ০৮, ২০২৫
১২:৩৬ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ০৮, ২০২৫
১২:৩৬ অপরাহ্ন
মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবা আলহাজ্ব আব্দুল মোছাউয়ীর আনসারী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল সাতটা ২৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্রের, ৩ কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
গত ৩ মে সিলেটে নিজ বাসভবনে হঠাৎ স্ট্রোক করেন এম এ মুছাব্বির। পরে তাকে সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় দু’দিন পর নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। সেখানে টানা তিনদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে দীর্ঘ ৮ বছর দেশে ফিরতে পারেননি মরহুম এম এ মুছাব্বির। রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায় বিচারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের কারণে তার বাবাকে দেশে ফিরতে দেয়নি তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকার। যার ফলে জীবনের শেষ ৮ বছর একপ্রকার নির্বাসনে থাকতে হয় এম মুছাব্বিরকে।
সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া আব্দুল মোছাউয়ীর আনসারী বাল্যকালে সৌদি আরবে প্রাইমারি শিক্ষা সম্পন্ন করে পরবর্তীতে বোম্বেতে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেন। বাল্যকালে একটি বড় সময়ে এতদঞ্চলের ইসলামিক স্কলার ও পীর এ কামেল পিতা ফজল আনসারীর সাথে সৌদি আরবে অবস্থান করেন। কর্মজীবনে তিনি দেশি-বিদেশি সংস্থাসহ সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি হজ কার্যক্রমে জীবনের একটি বড় অংশ অতিবাহিত করেন।
তার বড় ছেলে মুশফিকুল ফজল আনসারী দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। ছোট ছেলে মাওলানা আবু সাঈদ আনসারী সৌদি আরবের প্রখ্যাত আলেম শায়েখ আব্দুর রহমান সুদাইসির প্রিয় ছাত্রদের একজন। তিনি সৌদি আরব থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের একটি ইসলামিক সেন্টারে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া এম এ মুছাব্বির আরো তিন মেয়ে সন্তানের জনক।
এএফ/০১