ধর্ষণের শাস্তি ও সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে শাবিতে মানববন্ধন

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি


জুন ২২, ২০২৫
০৮:১৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২২, ২০২৫
০৮:১৬ অপরাহ্ন



ধর্ষণের শাস্তি ও সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে শাবিতে মানববন্ধন


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনার শাস্তি ও অন্য নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিং করার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন ওই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

আজ রবিবার (২২ জুন) বেলা সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ভবনের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এতে বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নুর উদ্দীন রাজুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আল-আমিন। 

তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় দুই ছাত্র জড়িত থাকায় সামাজিক বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মর্মাহত। আমরা জড়িতদের রাষ্ট্রীয় আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। আমরা তাদের সঙ্গে নিয়ে ক্লাসে বসতে চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের মাধ্যমেও তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’

তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। আমরা এসব সাইবার বুলিংয়ের নিন্দা জানাচ্ছি। নারী শিক্ষার্থীদের নামে বানোয়াট তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তা বন্ধ না হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘সাইবার বুলিংয়ে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এসব মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে আমাদের সহপাঠী ও বিভাগের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। আমরা এর যথাযথ বিচার দাবি করছি।’

এদিকে, সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে আজ দুপুরে সংবাদমাধ্যমে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ও ওই বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে, ২ মে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়। একইসাথে নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে সাইবার বুলিংয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে যথাযথ শাস্তির দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য,  গত ২ মে শাবিপ্রবির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাশ পার্থের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এরপর ধর্ষণের ঘটনায় প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আসামীদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


এএফ/০৫