জেমি ডের সহায়তায় খাওয়ানো হলো ৩০০ দুস্থ মানুষকে

খেলা ডেস্ক


এপ্রিল ০২, ২০২০
০৪:৩০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০২, ২০২০
০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন



জেমি ডের সহায়তায় খাওয়ানো হলো ৩০০ দুস্থ মানুষকে

করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে একটি মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রতিদিন দুপুরে মতিঝিলে সংস্থাটির ভবনে দুস্থ মানুষদের খাবার দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আর এই উদ্যোগে সামিল হলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জেমি ডেও। তার সহায়তায় বুধবার খাওয়ানো হলো ৩০০ জন অসহায় ও দুস্থ মানুষকে।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থবির গোটা দুনিয়া। বাংলাদেশেও আঘাত হেনেছে প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ ভাইরাস। ফলে স্থগিত করা হয়েছে ফুটবলসহ দেশের সমস্ত ক্রীড়া ইভেন্ট। খেলা না থাকায় এই সময়টা নিজ দেশ ইংল্যান্ডে পরিবারের সঙ্গে কাটাচ্ছেন জেমি। তবে বাড়িতে থাকলেও বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবনায় বিচলিত তার মন। তাই তো হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও এ দেশের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা বাস্তবায়নও করলেন  ৪০ বছর বয়সী এই কোচ।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে সতর্কতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে চলছে লম্বা সাধারণ ছুটি। অনেকটা লকডাউনের মতো অবস্থা। এতে দেশের অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত ও খেটে খাওয়া মানুষদের পড়তে হচ্ছে মহাবিপাকে। কারণ, তাদের উপার্জনের রাস্তা একপ্রকার বন্ধই হয়ে গেছে। তাদের দুরবস্থার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছেন জেমিও। তাই তো প্রসারিত করলেন সাহায্যের হাত।

বাফুফের হেড অব মিডিয়া আহসান আহমেদ অমিত জেমির সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, বুধবার তার অর্থেই দুস্থ মানুষদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। জেমি নিজেও একটি ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগ ও ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন এবং অসহায়দের সাহায্যার্থে সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান করেছেন।

রেকর্ডকৃত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাফুফের স্বীকৃত পেজে পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে জেমি বলেছেন, 'শুভ অপরাহ্ণ, বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান সময়টা খুব কঠিন। অনেক মানুষের জন্য খাবার জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাফুফে দারুণ একটি উদ্যোগ নিয়েছে, দুস্থদের দুপুরের খাবার দিচ্ছে। আমিও এতে সামিল হয়ে আগামীকাল (বুধবার) খাবারের ব্যবস্থা করতে চাই এবং যেভাবে সম্ভব সাহায্য করতে চাই। আমি তাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি, যাদের পক্ষে সম্ভব, তারা যেন খাবার দেওয়ার এই উদ্যোগে সহায়তা করেন। ভালোবাসা রইল।'