তাহিরপুর প্রতিনিধি

এপ্রিল ০৭, ২০২০
০২:২৯ পূর্বাহ্ন

আপডেট : এপ্রিল ০৭, ২০২০
০২:২৯ পূর্বাহ্ন

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এড়াতে ঘরে থাকার নির্দেশনা থাকলেও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের হাটবাজারগুলোতে ঠেকানো যাচ্ছে না জনস্রোত!

যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসনের টহল বিদ্যমান, ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত লোকজন আড়ালে গা ঢাকা দিচ্ছেন। প্রশাসনের নজরদারি চলে যাওয়ার পর পরই বাজারগুলো লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। উৎসুক জনতার এমন দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যায়। অপরদিকে সেনাবাহিনী আসার সংবাদ শুনে গ্রামের কৌতুহলী মানুষজন তাদের দেখতে বাজারে লুকিয়ে ভিড় করতেও দেখা গেছে। তাহিরপুরের প্রতিটি রাস্তাঘাটে বেড়েছে মানুষের চলাচল। অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের দৌরাত্মও চোখে পড়ার মতো।

এদিকে উপজেলার হাটবাজারগুলো ও রাস্তাঘাটে জনসমাগম ঠেকাতে এবং করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে জনসমাগম না করে জনগণকে নিজ নিজ ঘরে থাকার অবিরাম প্রচার চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের নিয়মিত টহলও চলছে। কিন্তু একশ্রেণির অসেচতন মানুষ করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে উপেক্ষা করে হাটবাজারগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে প্রশাসনের লোকজন চলে যাওয়ার পর। একই সঙ্গে অপপ্রচারে লিপ্ত হচ্ছে অনেকেই। 

আজ সোমবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার তাহিরপুর সদর, বাদাঘাট, বালিয়াঘাট,বড়ছড়া, চারাড়াও, কলাগাঁও, বাগলী, শ্রীপুর, কাউকান্দি একতা, জনতা, আনন্দ বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে জনস্রোত লক্ষ্য করা গেছে।

এসব কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মানুষ। তারা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উৎসুক জনতা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যমে, যা পুরো এলাকার জন্য হয়ে উঠবে প্রাণঘাতী। 

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে বার বার উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে জরুরি কাজ সম্পন্নের কথা বলা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইন অমান্যকারীদের জরিমানাও করা হচ্ছে। বর্তমান এ সংকটকালীন সময়ে উপজেলাবাসী যদি বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা না করেন, তাহলে প্রশাসন কঠোর হতে বাধ্য হবে।