রেফারিদের অভুক্ত রেখে খাবার প্রদান বাফুফের !

খেলা ডেস্ক


এপ্রিল ১৩, ২০২০
১১:৪৭ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০২০
১১:৪৮ অপরাহ্ন



রেফারিদের অভুক্ত রেখে খাবার প্রদান বাফুফের !

দীর্ঘদিন ধরে পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) রেফারিরা। দু’মাসের বেতন বাকি রয়েছে নিবন্ধিত কোচদের। নিয়মিত খেলা না থাকায় অনেক রেফারির উপার্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যাচ পরিচালনার সম্মানীর ওপর নির্ভরশীল থাকতে হয় তাদের।

বাফুফে রেফারিদের প্রাপ্য সম্মানী না দিয়ে মাসের পর মাস ঘোরায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেফারি বলেন, ‘বাফুফের উচিত করোনা-সংকটে স্টেক হোল্ডারদের (রেফারি) অধিকার রক্ষা করা। অনেক রেফারি দুর্দশার কথা বলতে পারেন না শোকজের ভয়ে।’

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ, বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পিয়নশিপ, ফেডারেশন কাপ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (প্রথম লেগের ৩৬ ম্যাচ পর্যন্ত), বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (বিসিএল দ্বিতীয় পর্ব), তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ, পাইওনিয়ার ফুটবল লিগ এবং মেয়েদের ফুটবল লিগসহ গত কয়েক মাসের বকেয়া পাওনা রয়েছে রেফারিদের।

এক রেফারি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘২০০ দরিদ্র মানুষকে একবেলা করে খাবার সরবরাহ করছে বাফুফে। তাদের এ কার্যক্রম করোনাভাইরাসের অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত চলবে। বাফুফের কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে ফিফা। রেফারিদের অভুক্ত রেখে বাফুফের এভাবে বাহবা নেওয়া খুবই দৃষ্টিকটু। মিডিয়ায় লেখালেখি হলে বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দেন কর্তারা। কিন্তু পরে আর বকেয়া দেন না।’

এএফসির অর্থায়নে বাফুফেতে বেতনভুক্ত কোচ রয়েছেন অনেকে। গত ছয় মাস ধরে এএফসি বাফুফেকে কোচদের জন্য টাকা ছাড় করেনি।

এ প্রসঙ্গে বাফুফের সাবেক টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর বায়েজিদ আলম জোবায়ের নিপু বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ বাফুফের আমলাতন্ত্রের ত্রুটি। কোচরা বিভিন্ন জেলায় কাজে ছিলেন। আবার অনেকে সই করেননি হাজিরা খাতায়। খাতায় সই পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ফেডারেশনের প্রশাসনিক কর্তাদের। তারা কীভাবে এটি এড়িয়ে গেলেন মাসের পর মাস। কোচদের বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে।’ কোচ, রেফারি, ফেডারেশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছাড়াও বাফুফের অধীনে অনেকে চুক্তিভিত্তিক ও দিনভিত্তিক কাজ করেন। তারাও এ দুঃসময়ে অর্থ পাননি। 

 

এরআরআর-০৬/আরসি-০৭