সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ১৬, ২০২০
১২:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১৬, ২০২০
১২:২৭ অপরাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের নিউেইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সেখানে বাংলাদেশি মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১৩৯ জনে।
মারা যাওয়া পাঁচ বাংলাদেশি হলেন বশির আহমদ, হুমায়ুনুল আহমদ, তাহেরা আক্তার জাহান, বুলবুল আহমদ ও জামাল উদ্দিন।
নিউইয়র্ক নগরটিতে টেস্টিং সুবিধা প্রতুল থাকলেও এখনও সংক্রমণ থামেনি। তবে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে আসছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, নিউইয়র্কের সবাইকে মুখ আবৃত্ত করে চলাচল করতে হবে। নগরীর কেউ অভুক্ত থাকবে না। ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।
অঙ্গরাজ্যের গভর্নর এন্ড্রু কুমো ১৫ এপ্রিল নির্দেশনা জারি করে বলেছেন, যেখানে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা মেনে চলা সম্ভব নয়, সেখানে অবশ্যই মুখ আবৃত্ত করে রাখতে হবে। জনসমক্ষে যাওয়ার জন্য মুখে মাস্ক বা কাপড় দিয়ে আবৃত্ত করতে হবে। ১৭ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া আইনে নিউইয়র্কের বাসে-ট্রেনে চলাচল করার জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে বা মুখ আবৃত্ত করে রাখতে হবে।
নিউইয়র্ক নগরে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের জরুরি অর্থ তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলারের জরুরি খাদ্য তহবিলের বরাদ্দ রয়েছে।
মেয়র ডি ব্লাজিও বলেছেন, নগরের যেকোনো প্রান্ত থেকে ৩১১ নম্বরে ফোন করলেই ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। ঘরে খাবার দেওয়ার জন্য নগর কাউকে বৈধ, অবৈধ—এসব প্রশ্ন করবে না। ফলে নিউইয়র্ক নগরের যেকেউ এ খাদ্য সুবিধা নিতে পারবে। ইতোমধ্যে নিউইয়র্কে ১২ লাখ মানুষকে নগর থেকে খাদ্যসুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ সংখ্যা এখন করোনাভাইরাসের কারণে বেড়ে গেছে।
মেয়র জানিয়েছেন, নগরে যেকোনো সময় ১৮ লাখ মানুষকে দেওয়া যাবে—এ পরিমাণ খাবার প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। নিউইয়র্কে ১১ হাজার ট্যাক্সিচালক, উবার চালক এ খাবার পৌঁছে দিতে এগিয়ে এসেছেন।
মেয়র ডি ব্লাজিও জানিয়েছে, নগরীতে ২ লাখ ৪০ হাজার মাস্ক এখন সপ্তাহে উৎপন্ন করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এপ্রিলের মধ্যে এই উৎপাদন দ্বিগুণ করার চেষ্টা চলছে। সপ্তাহে নগরীতে ৩০ হাজার সার্জিক্যাল গাউন এখন সরবরাহ হচ্ছে। অচিরেই তা আড়াই লাখে পৌঁছাবে বলে মেয়র জানান।
আরসি-০১/