সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ১৭, ২০২০
০৫:১৪ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১৭, ২০২০
০৫:১৪ অপরাহ্ন
অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাস আঘাত হানার পর থেকেই সরকার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, ‘এই মহামারিকালে প্রত্যেক নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়া দায়িত্ব সরকারের।’
অস্ট্রেলিয়ান সরকার প্রতি সপ্তাহেই নতুন নতুন প্রণোদনার ঘোষণা দিয়ে নাগরিকদের সাহস ও শক্তি দিচ্ছে। সম্প্রতি সরকার আঞ্চলিক সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রেডিওসহ মিডিয়ার নানা ক্ষেত্রে ৫০ মিলিয়ন ডলার প্যাকেজ প্রণোদনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
এই প্যাকেজে আঞ্চলিক মিডিয়াগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রকাশিত হয় ১২৫টি ‘আঞ্চলিক সংবাদপত্র’। কোভিড-১৯ এর কারণে এই পত্রিকাগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ান কমিউনিটি মিডিয়া (এসিএম) এই পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলার একদিন পরই সরকার তাদের সাহায্যে এই প্রণোদনার ঘোষণা দেয়।
এর মধ্যে আঞ্চলিক ও ক্ষুদ্র প্রকাশকদের চাকরি ও উদ্ভাবনী প্যাকেজে বরাদ্দ তহবিল পুনর্র্নিধারণসহ নতুন বরাদ্দ হিসেবে ১৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন এবিসি নিউজের প্রতিবেদন বলা হয়, ৪১ মিলিয়ন ডলারের কর ছাড় ও বছরের বাকি সময়ের জন্য কন্টেন্ট কোটাও বাতিল করা হয়েছে। প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় টিভি ও রেডিওগুলো ১২ মাসের জন্য বাণিজ্যিক স¤প্রচার করের ওপর শতভাগ ছাড় পাবে। ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ছাড় প্রাপ্তির হিসাব শুরু হবে।
অস্ট্রেলিয়ার কমিউনিকেশনমন্ত্রী পল ফ্লেচার বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে ব্রডকাস্টার ও সংবাদপত্রগুলো মারাত্মক অর্থনৈতিক চাপে পড়েছে। ফলে জরুরি ব্যবস্থা হিসেবে আমরা নাটক, শিশুতোষ অনুষ্ঠান ও ডকুমেন্টারি কন্টেন্টগুলোর ওপর বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা ও ২০২০ সালের জন্য টেলিভিশন সাবস্ক্রিপশন স্থগিত করেছি।’
জেডএসএস-০১/ এএফ-০৭