সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ১৮, ২০২০
০৩:২২ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১৮, ২০২০
০৫:১৬ অপরাহ্ন
সংক্রামক ব্যাধি ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তার গতিপ্রকৃতিও পাল্টায়। ফ্লু সাধারণত শীতের সময় হয়। ঠিক যেমন করোনাভাইরাস। আবার গরমের সময় আসে টাইফয়েড। সেই হিসেবে অনেকে মনে করছেন, শীতে শুরু হওয়া করোনাভাইরাস হয়তো ঋতু পরিবর্তনে গরমে কমে যাবে? অনেকের প্রত্যাশা গ্রীষ্মকাল আসতেই চড়া রোদে মরে যাবে করোনাভাইরাস। তবে তাদের সেই আশার সলতেতে জল ঢেলে দিয়েছেন ফ্রান্সের গবেষকরা। তারা গবেষণায় দেখেছেন গ্রীষ্মের দাবদাহে কেভিড-১৯ ভাইরাসের মৃত্যুর কোনও সম্ভাবনা নেই। ন্যূনতম ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে এই ভাইরাসের মৃত্যু হয় না।
ভাইরোলজি গবেষকরা বলছেন, প্রকৃতির স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কভিড-১৯ এর মৃত্যু হয় না। অন্তত ৯২ থেকে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পৌঁছলে, তবেই শেষ হতে পারে এই মারণ ভাইরাস।'
ফ্রান্সের এইক্স-মার্সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় এই তথ্যই উঠে এসেছে। গবেষণাপত্রটি কয়েকদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক ঘণ্টা ধরে করোনাভাইরাসের নমুনা রাখার পরও দেখা গেছে, ভাইরাসের কিছুই হয়নি, বরং ভাইরাসটি এই তাপমাত্রাতেও স্বাচ্ছন্দে বংশ বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। তবে ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ১৫ মিনিট রাখার পর এই ভাইরাসের মৃত্যু ঘটে।'
জীবাণু বিশেষজ্ঞদের মতে, ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অর্থাৎ যে তাপমাত্রায় পানি ফুটবে টগবগিয়ে, একমাত্র তাতেই মৃত্যুর ঠিকানা লেখা কেভিড-১৯ ভাইরাসের। তার আগে ভয়ংকর এই মারণ ভাইরাসকে খতম করার কোনও উপায় নেই। আর তাই শাকসবজি থেকে ফলমূল, বাজারের সবই ফুটন্ত গরম জল ঢেলে ধুয়ে নিতে বলছেন চিকিৎসকরা। নিষেধ করছেন কাঁচা দুধ বা কাঁচা সবজি খেতে। এমনকী বিধিনিষেধ চাপিয়েছেন ফ্রিজে রাখা বাসি খাবারের উপরও। ব্যবহৃত জামাকাপড়ের ক্ষেত্রে সেগুলিকে গরম জলে ধুয়ে, দিনভর কড়া রোদে শুকানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সূত্র- নিউজ উইক
এএফ/০৭