জাতি ধর্ম বর্ণ দেখে না করোনাভাইরাস : নরেন্দ্র মোদি

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ২০, ২০২০
০৩:০২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২০
০৪:০৫ পূর্বাহ্ন



জাতি ধর্ম বর্ণ দেখে না করোনাভাইরাস : নরেন্দ্র মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণের আগে জাতি, ধর্ম, শ্রেণি, বর্ণ, ভাষা কিংবা সীমানা দেখে না। তাই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ দেখাতে হবে। আমরা এই লড়াইয়ে একসঙ্গে রয়েছি।’

ভারতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার প্রেক্ষিতে নাগরিকদের সাহস যোগাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনে আজ রবিবার (১৯ এপ্রিল) দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। 

করোনাকে এ মুহূর্তে ভারতের একমাত্র ‘শত্রু’ জানিয়েছেন মোদি বলেন, ‘ইতিহাসে আগে অনেকবার একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে আমাদের। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের শত্রু একটাই। তাই এই একতা ও প্রতিরোধের উপরেই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।’

করোনা মোকাবিলায় শুধু দেশের নয়, বরং গোটা পৃথিবীর কথা আমাদের চিন্তা করা উচিত বলেও জানিয়েছেন মোদি। তিনি বলেন, ‘ভারতের পরবর্তী চিন্তাভাবনা গোটা বিশ্বের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। আমাদের ইতিবাচক দিকে পরিবর্তনের ক্ষমতা থাকা উচিত। এই পরিবর্তন যেনও শুধু ভারতের জন্য নয়, গোটা মানবতার মঙ্গলের জন্য হয়।’

এই পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বের কাছে ভারত এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করেন মোদি। এই প্রসঙ্গে বিশ্বে বিভিন্ন উপযোগী সামগ্রীর রফতানির ক্ষেত্রেও ভারত বড় মুখ হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। মোদি বলেন, ‘আগে আমরা দেখেছি রাস্তা, ওয়্যারহাউস, বন্দর প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করা হত। কিন্তু এখন ঘরে বসেই দুনিয়াজুড়ে রফতানির একটা চেন তৈরি করতেও এই পরিকাঠামো কাজে লাগছে।’

মোদি আরও জানান, ‘ফিজিক্যাল ও ভার্চুয়াল সংমিশ্রণে ভারত বিশ্বে রফতানি চেনের প্রধান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে আমাদের এই সুযোগটা নিতে হবে। আমি সবাইকে আহ্বান করছি এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে নিজেদের মতামত জানাতে।’

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৩৬৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যাচ্ছে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। রবিবার সকালে সুস্থ হয়ে উঠার হার ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। শনিবার যা ছিল ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। গত মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবারে যা ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৯৯, ১১ দশমিক ৪১, ১২ দশমিক ০২ ও ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।

 

এএফ/১২