এমবাপ্পের দাম মাত্র ৪ কোটি টাকা!

খেলা ডেস্ক


এপ্রিল ২০, ২০২০
০৭:৫২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২০
০৭:৫২ পূর্বাহ্ন



এমবাপ্পের দাম মাত্র ৪ কোটি টাকা!

করোনাভাইরাসের প্রভাবে ফুটবলের অনেক কিছুই বদলে যাবে। খেলোয়াড়দের দাম আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাবে। তাতেও অনেক ধোনি ক্লাব তারকা ফুটবলারদের কিনতে চাইবে না। আর বাজারে ফুটবলারদের দাম কম হলে কিংবা তাদের বেতন কম দেওয়া হলেও তারা মাঠে খারাপ ফুটবল খেলবে না।

ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির সদস্য দ্যানিয়েল কোহেন বেন্ডিট এমনই মন্তব্য করেছেন। তার মতে, ফুটবলের দলবদলের মৌসুমে যে এমবাপ্পের দাম ২৬০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৬ থেকে ৩০ কোটি টাকা) হওয়ার কথা ছিল, করোনার কারণে তার দাম গিয়ে দাঁড়াবে ৩৫-৪০ মিলিয়ন ইউরোতে। করোনার এই থাবাকে তিনি পারমানবিক হামলার মতো বলে উল্লেখ করেছেন।

বেন্ডিট বলেছেন, ‘পেশাদার ফুটবলের অনেক কিছুই এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বদলে যাবে। এটা অনেকটা পারমানবিক হামলা হওয়ার মতো। সবকিছু নতুন করে সংস্কার করতে হবে। যেদিকে যাচ্ছে, এমবাপ্পের দাম হয়তো ৩৫ থেকে ৪০ মিলিয়ন ইউরোতে নেমে আসবে (বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে তিন থেকে চার কোটি টাকা) । ওই দামেই বা তাকে কোন ক্লাব কিনবে?

করোনাভাইরাসের প্রভাবে ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সব লিগ বন্ধ আছে। ক্লাবগুলো খেলা শুরুর পথ খুঁজছে। কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাব বিশেষ কোন আশা দেখাচ্ছে না। ছোট ক্লাবগুলো দেয়লিয়া হবার শঙ্কায় আছে। ধোনি ক্লাবগুলো ফুটবলারদের সঙ্গে দরকষাকষি করে বেতন কম দেওয়ার শর্তে রাজী করাচ্ছে। কিন্তু এই করোনার থাবা আরও স্থায়ী হলে তাতেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে না ক্লাবগুলো।

বেন্ডিট তাই মনে করেন, এই সংকটের ফলে ক্লাব ফুটবলে বড় তারকাদের অস্বাভাবিক বেতন-বোনাস ও সুবিধা কমবে, ‘নতুন কিছু নিয়ম সৃষ্টি হবে এবং বেতনের সর্বোচ্চ সীমাও ঠিক করে দেওয়া হবে। তাদের ভাবমূর্তির স্বত্ত্ব ও বিজ্ঞাপন থেকেও আয় কমে যাবে। এছাড়া খেলোয়াড় এজেন্টের অহেতুক বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নেয়। এই পদ্ধতিটাও ভাঙতে হবে। আমার মতে, কম বেতন দিলে ফুটবলাররা খারাপ খেলবে না।’ তবে এসবের জন্য ফুটবলারদের মধ্যেও ঐক্য দরকার বলে মনে করেন।

এআরআর-০৮/বিএ-০৭