চুনারুঘাটে ধান কাটছেন কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা

চুনারুঘাট সংবাদদাতা


এপ্রিল ২৫, ২০২০
০৮:১৩ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৫, ২০২০
০৮:১৩ অপরাহ্ন



চুনারুঘাটে ধান কাটছেন কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা

করোনাভাইরাসে কারণে বিপাকে পড়েছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার অসহায় কৃষকরা। দেশের মানুষ যখন ঘরবন্দি, ঠিক তখনই শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার মৌসুম। অর্থ ও শ্রমিক সংকটের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানকার অনেক কৃষক। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে যার স্থান থেকে করোনাভাইরাসের কারণে অসহায়, মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নিদর্শনা অনুযায়ী বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র কৃষকলীগের সর্বস্তরের সকল নেতাকর্মীকে কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশ দেন। নির্দেশনামতো হবিগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন বেনুর নির্দেশে চুনারুঘাট উপজেলা কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে জমির ধান কেটে দিচ্ছেন।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) চুনারুঘাট উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জামাল আহমেদের নেতৃত্বে কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা উপজেলার ৪ নম্বর পাইকপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের অসহায় কৃষক মর্তুজ আলীর পাশে দাঁড়িয়ে মাঠ থেকে প্রায় ২ বিঘা জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন।

ধান কাটায় অংশগ্রহণ করেন উপেজলা কৃষকলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুমন আহমদ, পৌরসভা সাধারণ সম্পাদক রহমত তালুকদারসহ উপজেলা কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা। তারা সেচ্ছায় ধান কেটে মাথায় করে কৃষকের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন।

কৃষক মর্তুজ আলী ও হোসেন আলী খুশি হয়ে বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের কারণে কোনো প্রকার শ্রমিক ও লোকজন না থাকায় আমরা বিপাকে পড়েছিলাম। কিভাবে ধান কাটব বা বাড়ি নেব, কোথা থেকে অর্থ পাব এসব চিন্তা ছিল। স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের জমির ধান কেটে দেওয়ায় আমরা খুবই খুশি এবং আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। এটা কোনোদিনই ভোলার মতো না। তাই আমরা চুনারুঘাট উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, একদিকে করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সল্পতা আর অন্যদিকে বৈশাখের মাস। যেকোনো সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা বেশি। এ অবস্থায় পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার অনেক কৃষক। তাই শ্রমিক সংকটে পাকা ধান কাটতে কৃষকের অসুবিধার কথা জেনে আমিসহ কৃষকলীগ নেতাকর্মীরা ওই কৃষকদের প্রায় ৩ থেকে ৪ বিঘা জমির ধান কেটে দেই। 

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) চুনারুঘাটে কৃষকলীগের উদ্যোগে চন্দনা গ্রামের অসহায় কৃষক হোসেন আলির প্রায় ২ বিঘা জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়।

 

জেএ/আরআর