বিশ্ব কি ধ্বংসের পথে?

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ২৮, ২০২০
০৫:৪৮ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৮, ২০২০
০৫:৪৮ অপরাহ্ন



বিশ্ব কি ধ্বংসের পথে?

২০০১ সালে আমেরিকার টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। আর করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত শুধু নিউইয়র্কেই মৃত্যু ২২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নাইন ইলেভেনের সেই ঘটনা আমেরিকানদের অহংকারে আঘাত হেনেছিল, আর করোনাভাইরাস চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশটি একটি ক্ষুদ্র জীবাণুর কাছে কত অসহায়! অর্ধলাখ ছাড়িয়ে আমেরিকায় এখন মৃত্যুর স্রোত বইছে। সে কারণেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এখন অন্যের কাছে হাত পাততে হচ্ছে চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য, ওষুধের জন্য। 

আমেরিকানদের মতো ইউরোপীয় দেশগুলোও আজ নাস্তানাবুদ। একসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগান, ইরাক, ফিলিস্তিন ও সিরিয়ায় যুদ্ধে প্রতিদিনকার মৃত্যু ছিলো ইউরোপীয়দের কাছে সংখ্যার হিসাব। সেই সংখ্যা আজ তাদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিচ্ছে। ইউরোপ যেনো মৃত্যু উপত্যকা, সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই তারা বলতে পারছে না। কোনো ওষুধ নেই, প্রতিষেধক নেই। শুধুই মৃত্যুর অপেক্ষা!  তাই তো চিকিৎসায় সর্বাধুনিক দেশগুলোও এখন বলতে বাধ্য হচ্ছে আমরা অসহায়, শুধু ঐশ্বরিক ইচ্ছাই পারে আমাদের বাঁচাতে।

কিন্তু করোনাভাইরাস কি আসমান থেকে এসেছে, না মানুষেরই কর্মের ফল? বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বলেছিলেন, ‘বিশ্বে এমন নতুন কিছু আসতে চলেছে যা পৃথিবীর ধ্বংসের কারণ হতে পারে৷ সময় যত এগোবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তত উন্নত হবে৷ ফলে পারমাণবিক যুদ্ধ, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড ভাইরাস বাড়বে৷ আর তার ফলে ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী৷’ 

অর্থাৎ করোনাভাইরাস মানুষেরই কোনা গবেষণার ফল হতে পারে। সেই ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন হকিং। ইতিমধ্যে কিছু প্রমাণও আসছে যে, চীনের উহানের সেই ল্যাব থেকেই করোনাভাইরাসের যাত্রা। যেখানে বিপজ্জনক সব ভাইরাস নিয়ে গবেষণা হতো।

করোনাভাইরাস এ বিশ্বকে বিপর্যয়ের কোন প্রান্তে নিয়ে যায় তা বলা মুশকিল। কারণ এটি এমন একটি অদৃশ্য শত্রু যা খুব সহজে বিদায় নেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা দীর্ঘমেয়াদে থাকবে। অর্থাৎ হাজার হাজার মৃত্যু এখন আমাদের প্রতিদিনের পরিচিত সংখ্যা হয়ে উঠছে। এ থেকে বাঁচার বড় উপায় মানুষের চিন্তা ও কর্মের পরিবর্তন।

 

এনপি-০৫