তাহিরপুর প্রতিনিধি
মে ১৩, ২০২০
০৪:১৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১৩, ২০২০
০৪:১৫ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে শেষ পর্যন্ত আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। আর এর তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বাদাঘাট (উত্তর) ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম সামছুল হক সিকদার।
জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলায় করোনাভাইরাসের কারণে অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়া ৫ হাজার ৫৮টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর নগদ আর্থিক সহায়তা ২ হাজার ৫০০ টাকা ও ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এর মধ্যে উপজেলার বাদাঘাট (উত্তর) ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ৭৮ জনের তালিকা তৈরিকরণের কাজে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক সুবিধাভোগীর নামের পাশে তার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরসহ নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত করার কথা থাকলেও উক্ত ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওর্য়াডের ৭৮ জনের সরকারি সহায়তা সুবিধাভোগীর মধ্যে ২১ জনের নামের বিপরীতে ০১৭৪২১৯৫২৩৪, ১৬ জনের নামের বিপরীতে ০১৭৫৫৯৩৬৭০১ এবং ১২ জনের নামের বিপরীতে ০১৭৩৭০৯১১৪৬ মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।
নগদ সহায়তা তালিকা তৈরিকরণের কাজে ইউপি সদস্যের এমন কর্মকাণ্ডে স্থানীয় সচেতন মহলে জন্ম দিয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সামছুল হক সিকদার বলেন, নামের তালিকা দ্রুত জমা দিতে গিয়ে একই নম্বর একাধিক নামে ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশোধন করা হচ্ছে।
বাদাঘাট ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর নগদ সহায়তায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা কত জানতে চাইলে প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আহমদ এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেননি এবং দ্রুত মোবাইল সংযোগ কেটে দেন তিনি।
তালিকায় অসঙ্গতির বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নগদ সহায়তা তালিকা তৈরিকরণের কাজে একই নম্বর ব্যবহার করার খবর পেয়েছি। ক্রমান্বয়ে সংশোধন করা হচ্ছে। তালিকা যাচাই-বাছাই করে আর কোনো অসঙ্গতি বা অনিয়ম পেলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএইচ/আরআর
