শায়েস্তাগঞ্জে কেনাকাটায় ভিড়, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

শায়েস্তাগঞ্জ সংবাদদাতা


মে ১৫, ২০২০
০৩:০১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১৫, ২০২০
০৫:১১ পূর্বাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জে কেনাকাটায় ভিড়, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

এবার উল্টো পথে হাঁটছেন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। প্রথমে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় দোকানপাট ও শপিং মল না খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানালেও এখন দেদারছে খোলা হচ্ছে দোকানপাট। আর এতে ক্রেতারা কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করে জামা-কাপড় কিনছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১8 মে) দুপুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে। এদিকে গত ১০ মে থেকে সারাদেশে সীমিত আকারে সরকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিলেও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলছেন না অনেক ব্যবসায়ী।

জানা যায়, গত ৫ মে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে দোকানপাট খোলার প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর শায়েস্তাগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির (ব্যকস) নেতৃবৃন্দ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক সমাজের অনুরোধে ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার জনসাধারণের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ মে পর্যন্ত শপিং মল, দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শায়েস্তাগঞ্জ ব্যকস।

তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেখা গেছে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত না মেনে শায়েস্তাগঞ্জের দাউদনগর বাজারে প্রায় অর্ধেক দোকানি তাদের দোকান খোলা রেখে কাপড় বিক্রি করছেন। আর জনসাধারণ কোনো ধরনের শারীরিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ভিড় করে জামা-কাপড় কিনছেন। এতে চরম করোনা ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মানুষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, দিনের পর দিন দোকান না খুলে তারা কী ধরনের আর্থিক কষ্টে আছেন তা শুধু তারাই জানেন, কাউকে বলে বোঝাতে পারবেন না। পেটের দায়ে তারা দোকান খুলেছেন। তবে ক্রেতাদের তারা স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ করছেন সবসময়। কেউ মানছেন, কেউ মানছেন না। তারা নিজেরাও সতর্কতা অবলম্বন করছেন এবং মার্কেটে ঢোকার মুখে সবার হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে।

মার্কেটের অর্ধেকের মতো দোকান খোলা থাকার বিষয়টি স্বীকার করে দাউদনগর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মাসুক বলেন, এমপি মহোদয় ও ইউএনও সাহেবের অনুরোধে ব্যকস'র সকল সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী অন্য কারো যোগসাজশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য দোকানপাট খোলা রাখছেন। আমি এ বিষয়ে আজই শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।

 

এসডি/আরআর