সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে আম্পান

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ২০, ২০২০
১২:০১ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২০, ২০২০
০৯:০৮ অপরাহ্ন



সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে আম্পান
‘মহাবিপদ’ সংকেত

বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে মাত্র ২৯০ কিলোমিটার দূরে আছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। আজ বুধবার (২০ মে) বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে এটির। উপকূলের কাছাকাছি চলে এলেও এখনও এর শক্তি কমেনি। এটি সুপার সাইক্লোন রূপেই উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। বর্তমানে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের বাতাসের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ২২০ কিলোমিটার।

আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্পান আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকেল/সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর

এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষ দিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টয় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ১৩ লাখ মানুষ: কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিচু এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্রের উপসচিব কাজী তাসমীন আরা আজমিরী জানিয়েছেন, আজ বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত উপকূলীয় জেলাগুলোর ১৩ লাখ ৬৪ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এই কাজ অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, “মঙ্গলবার যাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছিল রাতে ঝড় আসেনি বলে তাদের অনেকে বাড়ি চলে যায়। আবার তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান আগের দিন বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর কারণে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। “এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া গেলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। সেজন্য ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” এর আগে ঘূর্ণিঝড় ফণির সময় ১৮ লাখ এবং বুলবুলের সময় ২২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নজরদারি করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি আশ্রয়কেন্দ্রের এসব মানুষদের খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও মোমবাতি সরবরাহ করেছে। এছাড়া গবাদি পশুও আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

মোংলায় সকাল থেকেই বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া: ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাত হানার আশঙ্কায় মোংলা বন্দরে আজ বুধবার ভোরে আবহাওয়া অধিদপ্তর ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে। একই সঙ্গে বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছে। ভোর থেকেই অঝোরধারায় বৃষ্টি ও মাঝেমধ্যে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।  

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন জানান, সোমবার রাত থেকেই মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ক্লিংকার (সিমেন্টের কাঁচামাল), কয়লাসহ ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-৪ জারির পর বন্দরের অভ্যন্তরীণ নৌ রুটে সকল প্রকার নৌযান চলাচলও বন্ধ করা হয়। বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য বোঝাই করার জন্য যেসব লাইটার জাহাজ নদীতে আছে, সেগুলোকেও নিরাপদে নোঙর করতে বলা হয়েছে। মোংলা বন্দরের চ্যানেলে অবস্থানরত সব নৌযানকে নিরাপদে চলে যাওয়ার জন্য নদীতে মাইকিং করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে তিনটি উদ্ধারকারী নৌযান। বন্দরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে তাঁদের সবাইকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের বড় জাহাজগুলো বন্দর চ্যানেলে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।

এদিকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারির পর থেকে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তবে অনেকে করোনা আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন। উপজেলা ও পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং করে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোংলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ অবস্থান নিয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন দাবি করেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মঙ্গলবার রাতেই শুকনা খাবার যেমন চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, আখের গুড় এবং সাহ্রির জন্য খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে মোমবাতি ও দেশলাইও।

মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত মান্নান জানান, উপজেলার ১০৩টি বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্রে ধারণক্ষমতা প্রায় ৫৭ হাজার। ইতিমধ্যে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে, মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও সিপিপিসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং স্বেচ্ছাসেবকসহ দুই হাজার কর্মী মঙ্গলবার রাত থেকেই তাঁদের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন।

ইউএনও আরও জানান, মোংলা উপজেলা এখনও করোনামুক্ত। মঙ্গলবার রাতে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে জনগণকে যত দূর সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে ইতিমধ্যে ২৪ টন চাল, শুকনো খাবারের জন্য ৩৬ হাজার টাকা এবং শিশু খাবার সংগ্রহের জন্য ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, বনপ্রহরীদের ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি নিয়ে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে এবং সুন্দরবনের অভ্যন্তরে যেসব জেলে আছেন, তাঁদের সোমবার সন্ধ্যা থেকে নৌকা ট্রলারসহ নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ: ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে চট্টগ্রামে মহাবিপদ সংকেত জারি হওয়ার পর বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আজ বুধবার সকাল থেকে ‘চার মাত্রার সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে জানিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত।”

তিনি বলেন, “বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ আছে, জেটি থেকে সব জাহাজ নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যন্ত্রপাতিও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। বর্হিনোঙ্গরে অবস্থানরত সব বড় জাহাজকে গভীর সমুদ্রে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” 

বন্দর ইয়ার্ড থেকে কন্টেইনার ডেলিভারি এখনো খুবই সীমিত আকারে চালু থাকলেও তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান জাফর আলম। তিনি বলেন, “সব লাইটারেজ জাহাজ শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে নোঙ্গর করে রাখতে বলা হয়েছে, বন্দর চ্যানেল ক্লিয়ার রাখা হয়েছে।”  আজ সকাল থেকে চট্টগ্রাম ও এর আশেপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা, থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে বইছে হালকা বাতাস। 

৮ ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে পতেঙ্গা সৈকতে: প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে ৭-৮ উঁচু ঢেউ আসছে পড়ছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। মঙ্গলবার রাত থেকেই সৈকতে এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। নবনির্মিত সৈকতের নিচের দিকে বড় বড় পাথরখন্ডগুলোতে ঢেউ আছড়ে পড়ছে। কখনও কখনও এই ঢেউ উঠে আসছে পাশের হাঁটার সড়কে।

করোনাকালে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত লকডাউন করে রেখেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ। দিনে এখানে কোনো দর্শনার্থী আসেন না। রাত নামে নির্জন নিস্তব্ধ হয়ে। সেই নির্জন রাতে ঢেউয়ের প্রবল শব্দ যেন আর্তনাদ করছে। আজ বুধবার ঘূর্ণিঝড়টি ভয়ঙ্কর রূপ দেখাবে এমন পূর্বাভাসই যেন দিচ্ছে ঢেউগুলো।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত সময়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে আশ্রয় চলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। 

সৈকতের বৈদ্যুতিক বাতিগুলো আলো ছড়াচ্ছে চারদিকে। তীব্র বাতাস বইছে আশপাশের এলাকায়। সন্ধ্যা রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। তবে রাত ১২টায় সেই বৃষ্টি থেমে গেছে। এখন বৃষ্টি নেই। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন। যেন অজানা আতঙ্ক ভর করছে মনে। আশঙ্কা জানাচ্ছে, সিডর কিংবা আইলা রূপ হয়ে আসছে কী ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আম্পান? 

এএন/বিএ-০৭/এনপি-১০