খেলা ডেস্ক

মে ২৩, ২০২০
০৮:০৯ পূর্বাহ্ন

আপডেট : মে ২৩, ২০২০
০৮:০৯ পূর্বাহ্ন

করোনাভাইরাস ২০২২ সালে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ ফুটবলকে শঙ্কায় ফেলেছে। করোনায় পুরো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে। বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা নাজুক পর্যায়ে পৌঁছানোর একটা শঙ্কা থাকছে। এমন অর্থনৈতিক মন্দার মুখে রয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবলের পরবর্তী আসর। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শকরা টাকা খরচ করে দলে দলে কাতারে আসবেন- এই চিন্তাটা বড় বেশি অবাস্তব। বিশ্বব্যাপী সম্ভাব্য এই অর্থনৈতিক মন্দার কু-প্রভাব পড়তে পারে বিশ্বকাপে- এই আশঙ্কা করছে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক কমিটি।
কমিটির মহাসচিব হাসান আল তাওয়াদি জানান- ‘পুরো ব্যাপারটা আসলে এখনো পরিষ্কার নয়- আমরা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়তে যাচ্ছি। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফুটবল দর্শকরা বিপুল অর্থকড়ি খরচ করে বিশ্বকাপ দেখতে কাতারে আসবেন- সেই সম্ভাবনা নিয়ে বড় সংশয় তো থাকছেই।’
করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্ট স্থগিত অথবা বাতিল করা হয়েছে। টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ২০২১ সালে। ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ফুটবল লিগ বাতিলও করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর প্রত্যক্ষ একটা প্রভাব পড়েছে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের ওপরও। এই বিশ্বকাপ উপলক্ষে এখনো ছয়টি স্টেডিয়াম নির্মাণাধীন। করোনায় শ্রমিক সঙ্কটে এই স্টেডিয়ামগুলোর নির্মাণ কাজও বন্ধ। তবে বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি আশা করছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এসব স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
কাতার বিশ্বকাপের স্থানীয় আয়োজক কমিটির প্রধান আল তাওয়াদি জানান- ‘আমরা আশা করছি ২০২২ সালের মধ্যেই করোনাভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে জয়ী হবো। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে আমরা সবাই মিলে সেই খুশির আনন্দ, সেই জয়ের আনন্দ উপভোগ করব।’
কাতারের আটটি স্টেডিয়ামে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির এক শহর থেকে আরেক শহরে যাতায়াতের জন্য যে পরিমাণ বিমান ভাড়া খরচ হবে- সেই হিসেব করে বিশ্বকাপের উৎসবে যোগ দিতে অনেকে আগ্রহ হারাতে পারেন!
এই প্রথমবারের মতো কাতার বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। এর আগে এশিয়ার দেশ হিসেবে ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান যৌথভাবে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করেছিল।

এএন/০৩