আর্থিক সংকটে স্বর্ণকন্যা অন্তরা

খেলা ডেস্ক


মে ২৯, ২০২০
০১:২১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২৯, ২০২০
০১:২১ পূর্বাহ্ন



আর্থিক সংকটে স্বর্ণকন্যা অন্তরা

এসএ গেমসে সোনার পদক গলায় পরে আনন্দে কেঁদেছিলেন। পোডিয়ামে দাঁড়ানোর পর যখন 'আমার সোনার বাংলা' জাতীয় সংগীত শুনেছিলেন, তখনই মনের ভেতরে স্বপ্নের জাল বুনেছিলেন কারাতেকা হুমায়রা আক্তার অন্তরা। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে গত ডিসেম্বরে নেপাল থেকে দেশকে এনে দিয়েছিলেন আরও দুই পদক ব্রোঞ্জ ও রৌপ্য। একমাত্র কারাতেকা হিসেবে সর্বোচ্চ তিনটি ইভেন্টে খেলে দেশকে তিনটি পদক উপহার দেওয়া অন্তরার স্বপ্নে বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে করোনাভাইরাস। বৈশ্বিক এ মহামারির কারণে অন্য সবার মতো ভালো নেই ২০ বছর বয়সী এ কারাতেকা।

আর্থিক অনিশ্চয়তা পেয়ে বসেছে তাকে। খেলা নেই বলে আয়ের পথও বন্ধ। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বাবার ব্যবসাও ভালো যাচ্ছে না। সংসারের বড় মেয়ে হিসেবে কারাতে খেলে যেটুকু আয় করতেন অন্তরা, তা দিয়ে বেশ ভালোই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু কয়েক মাস ধরে ঘরবন্দি অন্তরারা চলছেন বাংলাদেশ আনসারের কাছ থেকে পাওয়া ভাতার টাকায়। চার বোনসহ মোট সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে বেশ কষ্টে আছেন অন্তরা। দেশকে বড় সাফল্য এনে দেওয়ার পর অন্তরাদের কপালে জুটেছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) থেকে সংবর্ধনা ও কিছু অর্থ। সেই টাকা পুরিয়ে যাওয়ায় অজানা আতঙ্কে দিন কাটছে তার। অর্থকষ্টে থাকলেও সাহায্য চান না তিনি। বরং আনসারে একটি স্থায়ী চাকরি চান অন্তরা।

২০১৪ সাল থেকে আনসারের ভাতাভুক্ত খেলোয়াড় অন্তরা। তার অন্য তিন বোনও কারাতেকা। জাতীয় পর্যায়ে এরই মধ্যে নিজেকে মেলে ধরা জান্নাতুল ফেরদৌসও আনসারের ভাতাভুক্ত খেলোয়াড়। আনসার থেকে পাওয়া দুই বোনের মাসিক ভাতা থেকেই তাদের চার বোনের পড়াশোনার খরচ চলে। কারাতে খেলা ছাড়াও বিভিন্ন ক্লাবে কোচিং করাতেন অন্তরা। তার সঙ্গে ছিল বাবার ব্যবসা। বেশ ভালোই চলছিল অন্তরাদের সংসার।

এএন/০৩