শায়েস্তাগঞ্জে করোনার পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু

সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক, শায়েস্তাগঞ্জ


মে ৩১, ২০২০
০২:০৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ৩১, ২০২০
০২:০৪ পূর্বাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জে করোনার পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু

চলমান করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে ডেঙ্গুর আশঙ্কা করছেন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার লোকজন। বর্ষার শুরুতেই শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মশার উপদ্রবে। করোনার প্রাদুর্ভাবের মাঝে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার উৎপাত।

বর্তমানে পৌরশহরের সর্বত্র মশার উপদ্রবে বিপর্যস্ত জনজীবন। মশার উৎপাত নেই এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন। মশার কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার শিক্ষার্থী, শিশু ও বৃদ্ধরা। ঘরে-বাইরে সর্বত্র মশার উপদ্রব। এমতাবস্থায় ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ-বালাই বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন পৌরবাসী। 

জানা গেছে, পৌর এলাকার চারদিকে ঘরে ঘরে লোকজন সাধারণ জ্বরে ভুগছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাক্তার কিংবা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সবাই। এটি সাধারণ জ্বর না কি অন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। ফলে এই জ্বর মরণব্যাধি করোনা না কি ডেঙ্গুর কারণে, তা নিশ্চিত হতে না পারায় আতঙ্কে রয়েছেন পৌর এলাকার জনসাধারণ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও পৌর কর্তৃপক্ষ মশক নিধনে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে মশার বংশবিস্তারের সকল উৎসসমূহ ধ্বংস করা আবশ্যক। এটি করা হলে মশার ঘনত্ব হ্রাস পাবে আর মশার উৎপাত থেকে রেহাই পাবেন জনসাধারণ।

শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার উদয়ন আবাসিক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভার কয়েকজন কর্মী মশক নিধনের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা জানালেন, এলাকায় মশক নিধনে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রম পৌর এলাকার সবকয়টি ওয়ার্ডে চালানো হবে।

পৌরসভার দাউদনগর মহল্লার বাসিন্দা সুজাত মিয়া বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সারাদেশ আতঙ্কে আছে। এর মাঝে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ জনজীবন। দিনে-রাতে সবসময়ই ঘরে-বাইরে মশার আক্রমণ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এর ফলে যদি ডেঙ্গুজাতীয় রোগ-বালাই দেখা দেয়, তাহলে মৃত্যু ছাড়া উপায় নেই। কারণ এখন ডাক্তার-টেস্ট কিছুই পাওয়া যাবে না। 

এ পরিস্থিতিতে শায়েস্তাগঞ্জে এখনই মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি মশার বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক স্থানসমূহ চিহ্নিত করে বংশবিস্তার রোধকল্পে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এতে করে মশার উৎপাত থেকে সবাই রক্ষা পাবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. ছালেক মিয়া বলেন, ইতোমধ্যেই মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। করোনার মধ্যেও পৌর এলাকার সবকয়টি ওয়ার্ডে ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার ও মশানাশক স্প্রে করা হয়েছে। বৃষ্টি-বাদল শুরু হওয়ায় আবার মশার জন্ম হয়েছে। তবে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহৃত থাকবে।

 

এসডি/আরআর-০৪