‘ওসমানীনগরে প্রকল্পের বিল থেকে টাকা আদায়’

ওসমানীনগর প্রতিনিধি


জুন ৩০, ২০২০
০২:৩৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ৩০, ২০২০
০২:৩৯ পূর্বাহ্ন



‘ওসমানীনগরে প্রকল্পের বিল থেকে টাকা আদায়’
জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ

সিলেটের ওসমানীনগরে প্রকল্প অফিস থেকে টিআর প্রকল্পের টাকা উত্তোলনে অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশলীর উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন উক্ত প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া। সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগে এমন দাবি করেন তিনি। 

জানা যায়, চলতি জুন মাসে ৪৪ হাজার ৫শ’ ব্যয়ে উপজেলার ‘কমরপুর পাকা সড়কের মুখ হইতে কিত্তে কমরপুর জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন’ প্রকল্প শেষ হয়। কাজ শেষে উপজেলা প্রকল্প অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন খরচের অজুহাত দেখিয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর রেজা প্রকল্প কমিটির কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা তার কাছে রেখে দেন। 

সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর গত ২৩ জুন এমন একটি অভিযোগ দেন উছমানপুর ইউপির কিত্তে কমরপুর গ্রামের মৃত জমসেদ আলীর ছেলে আব্দুল মতিন। অভিযোগে তিনি নিজেকে উক্ত প্রকল্প কমিটির সদস্য দাবি করে ডাকযোগে তা ওসমানীনগরের উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও বরাবরও প্রেরণ করেন।

এরপর গত ২৭ জুন উক্ত প্রকল্পের সভাপতি ও উছমানপুর ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া উপ সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর আরেকটি পাল্টা অভিযোগ দেন। অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, প্রকল্পের টাকা উত্তোলনে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ দায়েরকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির কোন সদস্য নয়। টাকা নেওয়ার কোন ঘটনাও হয়নি।

প্রথম অভিযোগকারী আব্দুল মতিন বলেন, দুর্নীতি হয়েছে বলেই আবেদন দিয়েছি। তবে  প্রকল্প কমিটির সদস্য না হয়েও নিজেকে তেমন দাবি করার কারণ জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

দ্বিতীয় অভিযোগ দায়েরকারী উক্ত প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও উছমানপুর ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া বলেন, টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অভিযোগকারী নিজেকে প্রকল্প কমিটির সদস্য দাবি করছেন এটাও মিথ্যা। আমি প্রকল্প কমিটির সভাপতি হিসাবে এর তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি। 

অভিযুক্ত উপ সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর রেজা বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র করছে। আমার অপরাধ কী নিজেও জানি না। উৎকোচ গ্রহণের বিষয়টি ভিত্তিহীন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, প্রকল্প অফিসে উৎকোচ গ্রহনের বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। 

ইউডি/বিএ-০১