স্ত্রীকে আলমারিতে লুকিয়ে রাখতেন সাকলাইন

খেলা ডেস্ক


জুলাই ০৩, ২০২০
০২:৩৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৩, ২০২০
০২:৩৬ পূর্বাহ্ন



স্ত্রীকে আলমারিতে লুকিয়ে রাখতেন সাকলাইন

পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাকলাইন মুস্তাক স্ত্রীকে হোটেল রুমের আলমারিতে লুকিয়ে রাখতেন। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সময় তিনি এমনটা করেছেন বলে জানিয়েছেন। ওই বিশ্বকাপের সময় পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের স্ত্রী-সন্তানদের বিদেশ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি ছিলনা। বিশ্বকাপের মাস কয়েক আগে বিয়ে করা মুস্তাক পাক বোর্ডের সিদ্ধান্ত আমলে নেননি। তিনি স্ত্রীকে এক মুহূর্তের জন্যও দূরে রাখতে চাইতেন না। এই অবস্থায় স্ত্রীকে লুকিয়ে রাখতেন হোটেল রুমের আলমারির ভিতর।

এক সাক্ষাৎকারে কিংবদন্তি স্পিনার বলেছেন, ‘‌১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি বিয়ে করেছিলাম। আর ১৯৯৯ সালের শুরুর দিকেই বিশ্বকাপ খেলতে যেতে হয়। তার কিছুদিন আগেই আমি স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে শুরু করি। কারণ আমার স্ত্রী তার আগে লন্ডনে থাকত। দিনের বেলা কঠোর অনুশীলন করতাম। আর সন্ধেয় স্ত্রী’র সঙ্গে সময় কাটাতাম। এটাই অভ্যাস হয়ে উঠেছিল। বিশ্বকাপের মাঝপথে আমাদের জানানো হল, স্ত্রীকে আর সঙ্গে রাখা যাবে না। এর ফলে নাকি মনঃসংযোগে সমস্যা হচ্ছে। আমি এর প্রতিবাদ করেছিলাম। কোচকে বললাম, সব তো ঠিকঠাকই চলছিল। তাহলে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। বোর্ডের নির্দেশ প্রত্যাহার হয়নি।’‌ 

কিন্তু সেই নির্দেশ মানেননি মুস্তাক। লুকিয়ে স্ত্রীকে নিজের সঙ্গেই রেখে দেন তিনি। সতীর্থ এবং কোচিং স্টাফদের নজর এড়াতে মাঝে মাঝেই স্ত্রীকে লুকিয়ে রাখতেন আলমারির ভিতরে। পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার বলছিলেন, ‘‌টিমের ম্যানেজার, কোচ ও অন্যান্য অফিশিয়ালদের স্ত্রীকে দেখে ফেলার ভয় ছিল। তাছাড়া ক্রিকেটাররাও আড্ডা দিতে আসত রুমে। আমার রুমের দরজায় টোকা পড়লেই স্ত্রীকে আলমারিতে লুকিয়ে ফেলতাম। এভাবে অনেকদিন আমার স্ত্রী আলমারিতে লুকিয়ে থেকেছে।’‌ পরে অবশ্য ধরা পড়ে যান মুস্তাক। আজহার মাহমুদ, মহম্মদ ইউসুফ দেখে ফেলেন সাকলাইনের স্ত্রীকে। যদিও তাঁরা টিম ম্যানেজমেন্টকে বিষয়টি বলেননি। 

উল্লেখ্য, ৯৯-এর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন সাকলাইন। এখন অনেকেই মজা করে বলছেন, আসলে সাকলাইনের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের রহস্য লুকিয়ে ছিল আলমারিতেই।

এএন/১০