মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশালে সাত বছরের দণ্ড

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ০৮, ২০২০
০৯:৫৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৮, ২০২০
০৯:৫৬ অপরাহ্ন



মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশালে সাত বছরের দণ্ড

মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশিয়ে বিক্রি করলে সাত বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) বিল-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। আজ বুধবার (৮ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, সামরিক শাসনামলে প্রণীত এ বিষয়ে ১৯৮৩ সালের আইনটি রহিত করে বাংলায় নতুন আইন প্রণয়নের জন্য বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে। বিলে নিরাপদ মাছের উৎপাদন নিশ্চিত করতে মৎস্য খামারিদের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা এবং মৎস্য পণ্যে ভেজাল দিলে বা খামারে নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করলে অন্যুন দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ৮ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আইন অমান্য করলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক বা পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা কোনো ব্যক্তিকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রশাসনিক জরিমানা করতে পারবেন।
বিলে মৎস্যের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে ‘সকল প্রকার কোমল ও কঠিন অস্থি বিশিষ্ট মৎস্য, সাদু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজপ্রাণী, কচ্ছপ, কুমির, কাঁকড়া জাতীয় প্রাণী, শামুক, ঝিনুক, ব্যাঙ এবং এসব জলজপ্রাণীর জীবন্ত কোষকে মৎস্য হিসেবে গণ্য করা হবে’।
প্রস্তাবিত আইনে মৎস্য ও মৎস্যপণ্যে ভেজাল, অপদ্রব্যের মিশ্রণ ও অনুপ্রবেশ করানো এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিলটি পাস হলে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় তাজা মাছ প্রক্রিয়া করতে হবে। পচা, দূষিত, ভেজাল ও অপদ্রব্য মিশ্রিত মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বাজারজাত করা যাবে না।
এনপি-০১