স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল: তথ্যমন্ত্রী

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ১৩, ২০২০
০৮:০৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৩, ২০২০
০৮:০৬ অপরাহ্ন



স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা শনাক্ত ও চিকিৎসা বিষয়ে জেকেজি এবং সাহেদের দুর্নীতি ও প্রতারণা সরকারই উদ্ঘাটন করে ব্যবস্থা নিয়েছে। এর কোনটিই পত্রিকার রিপোর্ট বা অন্য কেউ অভিযোগের আঙ্গুল তোলার পরে নয়, সরকার নিজেই এখানে অনিয়ম খতিয়ে দেখার পরিপ্রেক্ষিতেই বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

আজ সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এইকথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, জেকেজির প্রধান নির্বাহী এবং চেয়ারম্যান দু’জনকেই গ্রেপ্তার ও সাহেদের দু’টি হাসপাতাল সিলগালা করাসহ মামলা হয়েছে। সাহেদকে গ্রেপ্তার করতে পারবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে বলা হয়েছে। এরপর নানাজনে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন, বিএনপিও মুখ খুলছে। কিন্তু এগুলো সরকারই উদ্ঘাটন করেছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি, এদের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও সতর্ক হওয়ার অবশ্যই প্রয়োজন ছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের এসব প্রচেষ্টার কারণেই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার পৃথিবীতে সর্বনিম্ন দেশগুলোর মধ্যে একটি, ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও আমাদের মৃত্যুহার কম এবং সরকার আরও সুচারুভাবে কাজ করতে চায় বিধায় এ অনিয়ম, দুর্নীতিগুলো উদ্ঘাটন করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।’

এসএসসি পাস সাহেদ কিভাবে পত্রিকার ডিক্লারেশন পেয়েছে? -এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পত্রিকার ডিক্লারেশন ডিসি অফিস থেকে নিতে হয় এবং ডিক্লারেশন পাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সাহেদ পত্রিকার ডিক্লারেশন নিলেও সেই পত্রিকা বের করেছে কি না, সেটি ডিএফপি (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর) খতিয়ে দেখছে। এক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে আমি মনেকরি, একজন প্রতারকের হাতে পত্রিকার ডিক্লারেশন থাকবে কি না, সেটি বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।

আরসি-০৫