লতিফ সিদ্দিকীর দুর্নীতি মামলার স্থগিতাদেশ বহাল

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ১৬, ২০২০
০৩:৪১ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৬, ২০২০
০৩:৪১ অপরাহ্ন



লতিফ সিদ্দিকীর দুর্নীতি মামলার স্থগিতাদেশ বহাল

সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় হাই কোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।

তবে মামলা বাতিল সংক্রান্ত হাই কোর্টের জারি করা রুল ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।

হাই কোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শহিদুল ইসলাম।

পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, হাই কোর্টের স্থগিতাদেশটিই আপিল বিভাগ বহাল রেখেছে। তবে আপিল বিভাগের আদেশ পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে মামলা বাতিল সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

বগুড়ার জজ আদালতে বর্তমানে দুর্নীতি মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান দুদকের আইনজীবী।

মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আবেদন করলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট এ মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়।

ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। সে আবেদনের শুনানি করেই আপিল বিভাগ হাই কোর্টের দেওয়া স্থাগিতাদেশ বহাল রেখে রুল নিষ্পত্তির আদেশ দিল।

টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাবেক সাংসদ লতিফ সিদ্দিকী ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

ওই সময় তিনি দুর্নীতি করেছেন অভিযোগ করে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর বগুড়ার আদমদীঘি থানায় এই মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।

সেখানে বলা হয়, মন্ত্রী থাকার সময় লতিফ সিদ্দিকী ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের অধীনে থাকা বগুড়ার আদমদীঘির রানীনগর ক্রয় কেন্দ্রের ২ দশমিক ৩৮ একর জমি দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বেগম জাহানারা রশিদ নামে এক নারীর কছে বিক্রির নির্দেশ দেন, তাতে সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়।

মামলায় বেগম জাহানারা রশিদকেও আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। পরে আদালত অভিযোগ গঠন করে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করে।

লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী জেয়াদ আল মালুমের ভাষ্য, মন্ত্রী থাকার সময় লতিফ সিদ্দিকী জমি বরাদ্দ দিতে যে ইচ্ছাপত্র জারি করেছিলেন সে ইচ্ছাপত্রের বৈধতা নিয়ে হাই কোর্টে একটি রিট মামলা বিচারাধীন। দুদক মামলা করার আগে থেকে এ মামলা বিচারাধীন।

ইচ্ছাপত্রটা বৈধ না অবৈধ সে সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালত এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি। ফলে এর উপর ভিত্তি করে মামলা চলতে পারে না। 

এ আইনজীবী বলেছিলেন, লতিফ সিদ্দিকী একজন মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রীকে বিশেষ বিবেচনায় সরকার নির্ধারিত মূল্যেরও ৫ শতাংশ বেশি মূল্যে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য ইচ্ছাপত্র জারি করেছিলেন। সে মূল্য অনুযায়ী জমির দলিল হয়েছে এবং জমির টাকা সরকারি কোষাগারে চলেও গেছে। এখানে লতিফ সিদ্দিকী কীভাবে লাববান হলেন? ফৌজদারী কোন অপরাধটা তিনি করলেন? এখানে তো তিনি ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতে চাননি।

এ আইনজীবী দাবি করেন, লতিফ সিদ্দিকীকে ফাঁসানোর জন্য ভূমি অধিগ্রহণের ম্যানুয়াল, ১৯৯৭ অনুযায়ী মূল্যায়ন করে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ জমি লতিফ সিদ্দিকী অধিগ্রহণ করেননি।

বিএ-০৭