নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ১৮, ২০২০
০৮:৩৬ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১৮, ২০২০
০৯:১৪ অপরাহ্ন
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার ১৩৩ দিনের মাথায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭০৯ জন। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই লাখ ২ হাজার ৬৬ জনে।
এসময়ে আরও ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ পর্যন্ত এ ভাইরাসটিতে মারা গেলেন দুই হাজার ৫৮১ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৩৭৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থের সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৮ শতাংশ।
আজ শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয় ১০ হাজার ৬৩২টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ হাজার ৯২৩ টি। এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ১৭ হাজার ৬৭৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭৭৯ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৪৯৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৩১ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪০ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৪১ হাজার ৫৩৮ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে এক হাজার ৭৮১ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে চার লাখ সাত হাজার ৩১১ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩১৪ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৪৭ হাজার ৬১৮ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ৬৯৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং পাঁচ জন নারী। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৪০ জন এবং নারী ৫৪১ জন।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে এক জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এক জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিন জন, রাজশাহী বিভাগে পাঁচ জন, সিলেট বিভাগে চার জন, ময়মনসিংহ বিভাগে এক জন, বরিশাল বিভাগে এক জন এবং খুলনা বিভাগে ছয় জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩২ জন , বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন দুই জন।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে সাড়ে ৬৭ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
বিএ-১৮