বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদের রাজনৈতিক আশ্রয় পর্যালোচনার উদ্যোগ

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ২৬, ২০২০
০২:৫৭ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৬, ২০২০
০২:৫৭ অপরাহ্ন



বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদের রাজনৈতিক আশ্রয় পর্যালোচনার উদ্যোগ

যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির বিচার বিভাগ। মার্কিন সাময়িকী পলিটিকোর প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার ১৭ জুন দেশটির ইমিগ্রেশন আপিল বোর্ডের কাছে রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় মামলার নথি পর্যালোচনার জন্য তলব করেছেন।

বারের এই পদক্ষেপের চূড়ান্ত ফলাফল হিসেবে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে তার রাজনৈতিক আশ্রয় হারাতে পারেন এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোও হতে পারে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ খুলে ওই সময় রাশেদ বিপদ বুঝে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান। ভিজিটর ভিসায় সেখানে গিয়ে দুই মাসের মধ্যে তারা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন।

প্রায় দশ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আদালত রাশেদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর করে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ।

সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য হতে পারেন না। কিন্তু মার্কিন বিচার বিভাগের ইমিগ্রেশন আপিল বোর্ড ২০০৬ সালে রাশেদ চৌধুরীর পক্ষেই রায় দেয়।

কিন্তু রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী আইন ভঙ্গ করেছিলেন কি না, সেই প্রশ্ন ওঠায় মামলাটি ইমিগ্রেশন আদালতে পুনঃপরীক্ষার জন্য ফেরত পাঠানো হয়। নতুন করে শুনানির পর ইমিগ্রেশন আদালত রাশেদকে রাজনৈতিক আশ্রয় মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।

কিন্তু বাংলাদেশ সরকার দণ্ডিত ওই খুনিকে ফেরত পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল গত মাসে মামলার নথি তলব করেন পর্যালোচনার জন্য।

এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবী মার্ক ফন ডের হাউট পলিটিকোকে বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ইমিগ্রেশন আদালতের আদেশ ‘পাল্টানোর সিদ্ধান্ত’ নিয়ে ফেলেছেন বলেই তার মনে হচ্ছে।

বার যদি বিচারকের সিদ্ধান্তের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ না করে থাকেন, তাহলে এতবছর পর এ মামলা পুনরায় চালু করার কোনো কারণ দেখছেন না রাশেদের আইনজীবী।

বিএ-১৬