কুলাউড়ায় ২ বছরে ধরে জলমহালের মাছ লুট

কুলাউড়া প্রতিনিধি


আগস্ট ০৭, ২০২০
০৯:৪২ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০৭, ২০২০
০৯:৪৭ অপরাহ্ন



কুলাউড়ায় ২ বছরে ধরে জলমহালের মাছ লুট

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় অবস্থিত গোগালীছড়া (বদ্ধ) জলমহালটি জবর দখল করে ২ বছর ধরে মাছ লুটের অভিযোগ ওঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মতছিন আলীর বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে কুলাউড়া উপজেলার শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। তবে অভিযোগের বিষয়ে মেম্বার কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন।
গোগালীছড়া (বদ্ধ) জলমহালের ইজারাদার শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গোগালীছড়া (বদ্ধ) জলমহালটি (১৪২৫-১৪৩০ বাংলা) ৬ বছর মেয়াদে প্রথম ৪ বছর বার্ষিক ১ লাখ ৭২ হাজার ৬২০ টাকা এবং শেষ ২ বছরে আরও ২৫ শতাংশ বর্ধিত হারে শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে উন্নয়ন প্রকল্পে ভূমি মন্ত্রণালয় হতে ইজারা বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়। ইজারা গ্রহিতা সমিতি ইতোমধ্যে তাদের ইজারা মূল্য সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছেন। কিন্তু জুড়ী উপজেলার জায়ফর নগর ইউনিয়নের মেম্বার মো. মতছিন আলী ও তার সহযোগী অমৎস্যজীবী ২৫-৩০ জন লোক নিয়ে গত ২ বছর ধরে জলমহালটির শাহাপুর মৌজার অংশের মালিকানা দাবি করে জোরপূর্বক দখল করে মাছ লুট করছেন।
এ ব্যাপারে ২০১৯ সালে জুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে ১১ সেপ্টেম্বর জায়ফরনগর ইউনিয়ন পরিষদে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্তই মানতে রাজি হননি মহতছিন আলী মেম্বার।
জবরদখলের বিষয়টি জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হলে তিনি গত ৫ আগস্ট বুধবার সকালে শুনানির জন্য নোটিশ দেন। কিন্তু ওইদিন মো. মতছিন আলী শুনানিতে উপস্থিত না হয়ে সহযোগীদের নিয়ে জলমহালে পাহারারত সমিতির লোকজনের ওপর হামলা চালান। সমিতির লোকজন নৌকা, জাল লুট করে নেয়। সমিতির পাহারাদাররা পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
ইজারাদার শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, মো. মতছিন আলী মেম্বার ও তার সহযোগীদের লুটপাটে গত ২ বছরে জলমহালের ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এভাবে ক্ষতি হতে থাকলে জলমহালে ইজারা মূল্য পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জায়ফরনগর ইউনিয়নের মেম্বার মো. মতছিন আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এসব আমি কিছু জানি না। শাপলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি আমি চিনি না।’
এ ব্যাপারে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ঘটনার সত্যতা ও বৈঠকের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, ‘১০ আগস্ট আবার বৈঠক আছে।’ মো. মতছিন আলী মেম্বারের বিষয়টি না জানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খারাপ প্রকৃতির লোকের এমন স্বভাব।’
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান রুহুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত আছি। উভয় পক্ষকে ডেকে যা করণীয় করব।’
জেএইচ/এনপি-০৮