নৌকা আটকের প্রতিবাদে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


আগস্ট ০৯, ২০২০
১০:৩৫ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০৯, ২০২০
১০:৩৫ অপরাহ্ন



নৌকা আটকের প্রতিবাদে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ

১৯ বিজিবি'র লালাখাল ক্যাম্প কর্তৃক নৌকা আটকের প্রতিবাদে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন নৌকার মালিক ও শ্রমিকরা। পরে আটককৃত নৌকা ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। এ সময় বিজিবি'র লালাখাল ক্যাম্পের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়সহ চোরাচালানের বিস্তর অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সারী নদীর লালাখাল খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে ১৯ বিজিবি'র লালাখাল ক্যাম্পের সদস্যরা আজ রবিবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় ৩টি নৌকা আটক করে নিয়ে যান। এ সময় তারা কয়েকজন শ্রমিককে মারধর করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নৌকার মালিক ও শ্রমিকরা বিজিবি'র লালাখাল ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ও সদস্যদের অন্যায় কার্যক্রমের প্রতিবাদে এবং নৌকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ফেরীঘাট এলাকা অবরোধ করেন। রবিবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার সেকেন্ড ইন কমান্ড তপন কান্তি ও এসআই প্রদীপ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মালিক-শ্রমিকদের শান্ত করেন এবং নৌকা ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এমন আশ্বাসে মালিক ও শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।

এর আগে সড়ক অবরোধ চলাকালীন সময়ে যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা, হিউম্যান হলার, রোগী বহনকারী গাড়ি, এ্যাম্বুলেন্স, মালবাহী ট্রাক ও পিকআপসহ অন্যান্য যানবাহন সড়কে আটকা পড়লে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। 

লালাখালের আব্দুর রহমান, আব্দুর রহিম, ইজারাদার সোহেল তাজসহ নৌশ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত লালাখাল জিরো পয়েন্টে লাইনম্যান আনোয়ার এবং বিজিবি'র সদস্যরা সরাসরি উপস্থিত থেকে বালুবাহী নৌকা থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং পাথরবাহী নৌকা থেকে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা প্রকাশ্যে চাঁদা হিসেবে উত্তোলন করে আসছেন। দিনের বেলা পর্যটকদের আনাগোনা থাকায় ওইসময় তারা কঠোর অবস্থান নিয়ে কোনো নৌকা জিরো পয়েন্ট এলাকায় যাতায়াত করতে দেন না। আর রাত হলে চলে লুটপাট। বিজিবি'র সদস্যরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের ভালো কার্যক্রম দেখাতে দিনে-দুপুরে ঘাটে বেঁধে রাখা নৌকা আটক করে নিয়ে যান এবং শ্রমিকদের মারধর করেন।

তারা আরও জানান, লালাখাল ক্যাম্পের বিজিবি'র লাইনম্যানদের মাধ্যমে উৎকোচ নিয়ে ভারতীয় নাসির বিড়ি, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট, ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, কসমেটিক্স সামগ্রীসহ ভারতীয় গরু ও মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সেগুলো তারা আটক করেন না। বরং বিভিন্ন সময় তারা নিরীহ শ্রমিকদের নৌকা ধরে নিয়ে যান।

 

আরকে/আরআর-০৭