বিশ্বে একদিনে রেকর্ড করোনা আক্রান্ত শনাক্ত

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ১৭, ২০২০
০৩:০১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০২০
০৩:০১ পূর্বাহ্ন



বিশ্বে একদিনে রেকর্ড করোনা আক্রান্ত শনাক্ত

বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড দুই লাখ ৯৪ হাজার ২৩৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মহামারী শুরুর পর এই প্রথম একদিনে এত মানুষ ভাইরাস আক্রান্ত হলো বলে জানিয়েছে বিবিসি।

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবমতে, বিশ্বে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে সাত লাখ ৭১ হাজারের বেশি মানুষের।

সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, এক লাখ ৭০ হাজার। আর আক্রান্ত হিসাবে শনাক্ত হয়েছে ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ। নিউ জিল্যান্ডে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া ৫ মাসের মধ্যে নতুন রোগী শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে শনিবার। এদিন দেশটিতে নতুন ১৬৬ জন ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ১১ মার্চের পর এটিই দক্ষিণ কোরিয়ায় সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।

ব্রাজিলে ৩৩ লাখ ১৭ হাজারের বেশি, ভারতে ২৫ লাখ ৮৯ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার তথ্য দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে।

রাশিয়ায় ৯ লাখ ২২ হাজার, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এ ভাইরাস সবচেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়িয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে। বিশ্বে এ পর্যন্ত যত কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, তার ২৮ শতাংশই এসব দেশের। আর বিশ্বের মোট মৃত্যুর ৩০ শতাংশও ঘটেছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে।

করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তা এক বছরে ইনফ্লুয়েঞ্জায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মানবদেহে ধরা পড়ে; খুব দ্রুত বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা।

পরে এ ভাইরাসের নাম দেওয়া হয় নভেল বা নতুন করোনাভাইরাস। আর এ ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগের নাম দেওয়া হয় কোভিড-১৯।

চীনে প্রথম মৃত্যুর দুদিন পর ১৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডে প্রথম রোগী ধরা পড়ার পর জানা যায়, চীনের রাষ্ট্রীয় সীমানা পেরিয়ে গেছে এই ভাইরাস।

তারপর হু হু করে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা, দেড় মাসের মধ্যে এন্টার্কটিকা বাদে সব মহাদেশেই ধরা পড়ে রোগী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তখন এই পরিস্থিতিকে মহামারী আখ্যায়িত করে।

কঠোর লকডাইনে চীন তিন মাসের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও ততদিনে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র এবং পরে রাশিয়ায় ব্যাপক মাত্রা পায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব।

প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর চার মাসের মাথায় ১ এপ্রিল বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়ায়। এর পরের সাত সপ্তাহে আরও ৪০ লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় ২১ মে আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধ কোটি ছাড়িয়ে যায়।

এরপর পাঁচ সপ্তাহের মাথায় ২৮ জুন সেই সংখ্যা কোটিতে পৌঁছায়। তারপর আরও এক কোটি রোগী শনাক্তে সময় লেগেছে ৪৩ দিন।

অনেক দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ঘাটতি থাকায় এবং কোনো কোনো দেশ হাসপাতালের বাইরে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হিসাবের মধ্যে না আনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।

বিএ-০২