ওসমানীনগরে ছাত্রলীগের দোয়া মাহফিল

ওসমানীনগর প্রতিনিধি


আগস্ট ৩০, ২০২০
০৪:০০ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ৩০, ২০২০
০৪:০০ অপরাহ্ন



ওসমানীনগরে ছাত্রলীগের দোয়া মাহফিল

স্বাধীন বাংলার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সিলেটের ওসমানীনগরে ছাত্রলীগের উদ্যোগে সভা-মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

১৯৭৫ সালের সেই ভয়াল-বীভৎস ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের নিহতদের মাগফেরাত কামনা ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নিহতদের মাগফেরাত কামনায় শনিবার (২৯ আগস্ট) উপজেলার তাজপুর বাজারে ছাত্রলীগ ছাত্রনেতা জুবায়ের আমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নবিদ আলী সেলিম ও মুহিবুর রহমানের যৌথ পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দাল মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হোসেন মস্তান, আওয়ামী লীগ নেতা জুবায়ের আহমেদ শাহীন, সেবুল আহমদ, ফজলুর রহমান, কয়েছ আহমদ শানুর, আব্দুল মালেক, আব্দুল খালিক, ইউপি সদস্য খালেদ আহমদ, যুবলীগ নেতা তাজপুর ইউপি সদস্য নেপুর আহমদ, দয়ামীর ইউপি সদস্য ফয়ছল আহমদ, সিদ্দেক আলী, কাওসার আহমদ, দবির আহমদ, গোয়ালাবাজার ইউপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আলী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিনহাজ আহমদ সাজন, উসমানপুর ইউপি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল তফাদার, কৃষকলীগ নেতা নাজমুল ইসলাম।

বক্তব্য দেন-যুবলীগ নেতা রয়েল আহমদ, সোহেল আহমদ, আব্দাল মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান, সুলতান রাজু, কামিল আহমদ, রুবেল আহমদ, শাহেদ আহমদ, সজল আহমদ, হানিফ, সিজিল রুদ্র, আল-আমিন, সামু, উজ্জল, জুনেদ, সামাদ, সৈয়দ হুশিয়ার আলী, রাজন আহমদ, জাবের আহমদ, আলী আহমদ, হাবিব আহমদ, জাবেদ আহমদ, লিটু চৌধুরী, মোহন আহমদ, অনুপ, সুমন, রিংকু দেব, জুয়েল আহমদ প্রমুখ। 

সভায় বক্তারা বলেন, প্রকৃত সমস্ত গুণাবলী নিয়েই যেন জন্মেছিলেন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁরা জীবন ছিল বর্ণিল ও ঘটনাবহুল। একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তির ঘৃণ্য সর্বনাশা চক্রান্তে একদল ঘাতকের পৈশাচিকতার বলি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার-পরিজন। রচিত হয়েছিল ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়। কিন্তু তাতেও জাতির হৃদয় থেকে তাঁকে চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব না হওয়ায় সেই ঘাতকসহ তাদের পেতাত্মারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বার বার হত্যার চেষ্টাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়ষন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ঠ সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা চালিয়ে ছিল। সে দিন ভাগ্যগুনে সেদিন শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও নিহত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী। সভায় এই নৃশংস হামলায় জড়িতদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করার আহব্বান জানানো হয়। 

সভা শেষে তাজপুর বাজার জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়। মিলাদ শেষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদ ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের শাহাদাত বরণকারী সকল সদস্য ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

ইউডি/বিএ-১২