ওসমানীনগরে হঠাৎ অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

ওসমানীনগর প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
০১:১৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০
০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন



ওসমানীনগরে হঠাৎ অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

সিলেটের ওসমানীনগরে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চালসহ কিছু নিত্যপণ্যের দাম। কয়েকমাসের ব্যবধানে চালের দর বস্তাপ্রতি ছয়শ থেকে সাতশ টাকা বেড়েছে। আর এখনও এই দরবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের মূল্য বেড়ে প্রায় দ্বিগুন হয়ে গেছে। এছাড়া রসুন ও আলুসহ সব ধরণের সবজির দর বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। এমন অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ওসমানীনগরে হঠাৎ করে চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। কোনো কারণ ছাড়াই বাড়তে শুরু করেছে সব ধরণের চালের দর। গতমাসে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা মোটা চাল ১৬শ-১৭শ এবং চিকন চাল ২১শ-২২শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি ২শ-৪শ টাকা বেড়ে গিয়ে মোটা চাল ২ হাজার এবং চিকন চাল আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাইকারি বিক্রেতারা হঠাৎ করেই বাড়িয়ে দিয়েছেন চালের দর। যার কারণে খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। এমন অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন।

এদিকে গত প্রায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দর বেড়ে প্রায় দ্বিগুন হয়ে গেছে। ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে স্থানভেদে ৪০-৫০ টাকায়। এছাড়া রসুনের দর কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকা দরের রসুন বাজারভেদে ৭৫ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলুসহ প্রায় সকল সবজির দর বৃদ্ধি পেয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে উপজেলার নিকটবর্তী বাজারগুলোতে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও মফস্বলের বাজারগুলোতে কখনও যেতে দেখা যায়নি। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে বাজারের অনেক ব্যবসায়ীর সখ্যতা রয়েছে। অভিযানের পূর্বমুহূর্তে এসব ব্যবসায়ীকে সতর্ক করে দেওয়া হয় বলে গোপন সূত্রে জানা গেছে। ফলে অভিযানের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যান অনেক অসাধু ব্যবসায়ী।

স্থানীয় রিকশাচালক খেজুর মিয়া বলেন, 'বাজারে হঠাৎ করে চাল, পেঁয়াজ ও রসুনের দর বেড়ে যাওয়ায় আমরা চরম বিপাকে পড়েছি। পরিবার চালাতে এখন হিমশিম অবস্থা।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাহমিনা আক্তার বলেন, 'এই মুহূর্তে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে। কেউ ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি মূল্য আদায় করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

ইউডি/আরআর-০৫