গোয়াইনঘাট সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দুদকের অভিযান মিলেছে দুর্নীতির সত্যতা

নিজস্ব প্রতিবেদক


এপ্রিল ১৭, ২০২৫
০২:২২ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৮, ২০২৫
০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন



গোয়াইনঘাট সাব রেজিস্ট্রার অফিসে দুদকের অভিযান মিলেছে দুর্নীতির সত্যতা
# জমি রেজিস্ট্রি, নকল তোলায় ঘুষ, ছাড়া হয় না, করেন দুর্ব্যবহার


সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলা সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের বিরুদ্ধে হয়রানি, ঘুষ দাবি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযানে এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে দুদক। 

দুদুক প্রধান কার্যালয়ের অ্যানফোর্সমেন্ট ইউনিটের উপপপরিচালক মো. তানজির হাসিব সরকারের নির্দেশে দুদকের সহকারী পরিচালক (টিম লিডার) জুয়েল মজুমদার, কোর্ট পরিদর্শক মো. জাহিদুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক নিঝুম রায় প্রান্তের সমন্বয়ে দুদকের দল একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। 


অভিযানের সময় ছন্দবেশে স্থানীয় প্রায় ২০ জনের বক্তব্য গ্রহণ করেন দুদকের কর্মকর্তারা। তারা জানান, গোয়াইনঘাট সাব রেজিষ্ট্রি কার্যালয়ে সপ্তাহে দুই দিন মঙ্গল ও বুধবার দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। আবাসিক ভূমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রতি শতকে ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। কোনো জমির কাগজপত্র সম্পর্কিত সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে  মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয়। নকল তোলার ক্ষেত্রে প্রতি দলিলে ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। রেজিস্ট্রার মাসুদ পারভেজের নির্দেশে মোহরার মো. আব্দুল মালেক ও দালাল সবুজ আহমদ এসব কাজ করেন।


এসময় উপজেলার নলজুরি গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল হান্নানের সাক্ষাৎকার নেন দুদক কর্মকর্তারা। হান্নান জানান, তার একটি দলিল সম্পন্ন করতে তিনি গোয়াইনঘাট সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবীশ মনি দাসের মাধ্যমে দালাল সবুজ আহমদকে ৪০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে মনি দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি লিখিতভাবে জানান- সাব-রেজিস্ট্রার মাসুদ পারভেজ এবং তার পার্সোনাল এজেন্ট সবুজ আহমদ পরস্পর যোগসাজশে প্রতিটি দলিলে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। তারা ঘুষ ছাড়া রেজিস্ট্রি ও কোনো কাজই করেন না এবং সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও স্বীকার করেন। 

এসব তথ্য কালের কন্ঠকে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সিলেটের উপ পরিচালক রাফি সাদাত। তিনি বলেন, ‘অভিযানে দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি, নকল উত্তোলনসহ অন্যান্য কাজে সেবা নিতে আগতদের হয়রানি এবং ঘুষ দাবিসহ নানাবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’


এএফ/০১