ট্রলারডুবিতে সুনামগঞ্জের আরও দুইজনের লাশ উদ্ধার

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
০১:৫৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০
০১:৫৬ পূর্বাহ্ন



ট্রলারডুবিতে সুনামগঞ্জের আরও দুইজনের লাশ উদ্ধার

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ট্রলারডুবির ঘটনার দুইদিন পর আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধর্মপাশা থানার পুলিশ গুমাই নদের মোহনা হলদী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশ দু'টি উদ্ধার করে। এ নিয়ে ওই ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়াল।

উদ্ধার মরদেহ দু'টি রতন মিয়া (৩৮) ও শিশু মনিরা আক্তারের (৫)। রতন সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার কামাউড়া এলাকার বাসিন্দা আর মনিরা একই উপজেলার ইনাতনগর এলাকার আব্দুল ওয়াহাবের মেয়ে।

ট্রলারডুবির ঘটনায় আব্দুল ওয়াহাব বেঁচে গেলেও ওইদিন তার স্ত্রী লুৎফুন্নাহার (৩২) ও শিশুপুত্র ইয়াসিনের (২) লাশ উদ্ধার করা হয়। আর আজ শুক্রবার উদ্ধার হলো ৫ বছর বয়সী মেয়ে মনিরার লাশ। দুর্ঘটনায় মৃত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনের বাড়িই সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায়। অপরজনের বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার মেদনী গ্রামে।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম বলেন, ‘হলদী নদীর মধ্যনগর এলাকার অংশে রতন মিয়া ও মনিরার লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে ধর্মপাশা থানার পুলিশ লাশ দু'টি উদ্ধার করে।’

স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে সুনামগঞ্জেরে ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর বাজার থেকে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার নেত্রকোনা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা বাজারের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রলারটি কলমাকান্দা উপজেলার বরকাপন ইউনিয়নের রাজনগর গ্রাম সংলগ্ন গুমাই নদীতে যাওয়ামাত্র বালু বোঝাই একটি নৌকার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো।

এদিকে এ ঘটনায় সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ইনাতনগর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল ওয়াহাব বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ঘটনার পর নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে প্রধান করে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত বুধবার রাতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

 

এনএইচ/আরআর-০৮