তাহিরপুরে আদিবাসীদের মাঠ রক্ষায় প্রশাসনের কাছে আবেদন

তাহিরপুর প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
০১:৪৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
০১:৪৯ পূর্বাহ্ন



তাহিরপুরে আদিবাসীদের মাঠ রক্ষায় প্রশাসনের কাছে আবেদন

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের বড়গোপটিলা-কড়ইগড়া গারো আদিবাসী ফুটবল মাঠ চোরাকারবারিদের উস্কানিতে দখলের অভিযোগে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোকজন।

আজ রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মাঠ রক্ষায় সহযোগিতা চেয়েছেন ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোকজন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক বরাবরে দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৪৮ সালে পাহাড় কেটে মাঠ তৈরি করেছিলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে অবস্থিত বড়গোপটিলা ও কড়ইগড়া গ্রামের ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর লোকজন। তাদের উদ্দেশ্য নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চায় উৎসাহিত ও নিয়োজিত করা। এরপর থেকে ওই মাঠে আদিবাসী দিবস, জাতীয় দিবস, নিয়মিত খেলাধুলার আসরসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন তারা।

সম্প্রতি ওই মাঠটি দখলের চেষ্টা করছে মাঠের পাশের টিলায় অবস্থিত একটি চোরাকারবারি চক্র। তারা আদিবাসীদের মাঠ থেকে উচ্ছেদ করতে হুমকি-ধমকিসহ সাম্প্রদায়িক উস্কানিও দিচ্ছে। এ ঘটনায় নিরীহ আদিবাসীরা সহায়তা চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন। স্থানীয়ভাবেও বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ করেছেন আদিবাসীরা। কিন্তু বিষয়টি অবহেলায় ফেলে রাখায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আদিবাসী ও মাঠ পরিচালনাকারী সুনীল দাজেল ও সেক্রেটোরি সঞ্জীব দালবৎ বলেন, 'আমাদের পূর্ব-পুরুষরা কয়েকশ বছর ধরে টিলায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। ১৯৪৮ সালে আমাদের পূর্বপুরুষরা জঙ্গল কেটে যে মাঠ তৈরি করেছিলেন, আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেই মাঠে খেলাধুলাসহ নানা কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু কয়েকমাস হলো কিছু উশৃঙ্খল যুবক জোরপূর্বক সশস্ত্র হয়ে মাঠ দখলের চেষ্টা করছে। উশৃঙ্খল যুবকরা আমাদের সাইনবোর্ড তুলে নিয়ে সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলছে। আমাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি বরাবরে আবেদন করার পর আজ (রবিবার) জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছি।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, 'শুনেছি একটি অভিযোগ করা হয়েছে। আমি এখনও সেটা হাতে পাইনি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে ত্বরিৎ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।'

 

এএইচ/আরআর-০৫