সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ০২, ২০২০
০৬:৩৬ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০২, ২০২০
০৬:৩৮ অপরাহ্ন
এলিমিনেটর নিশ্চিত হওয়ায় দিল্লির কাছে হেরেও ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক কোহলি খুশি।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে আইপিএলের প্লে অফে পৌঁছে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। আবু ধাবিতে ব্যাঙ্গালোর প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে করে ৭ উইকেটে ১৫২ রান। দিল্লি সেই রান তুলে নেয় ১৯ ওভারে। হেরে গেলেও বিরাট কোহালির দল চলে গেল প্লে অফে। কোহালিদের রান রেট কলকাতা নাইট রাইডার্সের থেকে ভাল। ফলে অস্বস্তি বাড়ল কলকাতার। মঙ্গলবার নাইটরা তাকিয়ে থাকবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স-সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের দিকে। ডেভিড ওয়ার্নাররা জিতলে প্লে অফ নিশ্চিত। কারণ হায়দরাবাদের নেট রানরেট +০.৫৫৫। মুম্বইয়ের কাছে ওয়ার্নাররা হেরে গেলে অবশ্য প্লে অফে যাবে কলকাতা।
ব্যাঙ্গালোর এবং দিল্লি একসময়ে প্লে অফের দিকে মসৃণ ভাবেই এগোচ্ছিল। কিন্তু দিল্লি শেষ চারটে ম্যাচে হেরে য়ায়। ব্যাঙ্গালোর আবার শেষ তিনটেয় হার মানে। ফলে সোমবারের ম্যাচ দুটো দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেই ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে শিখর ধওয়ান (৫৪) ও অজিঙ্ক রাহানের (৬০) দাপটে ৬ উইকেটে জেতে দিল্লি।
এ দিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। দু' দলেই একাধিক পরিবর্তন আনা হয়। কাগিসো রাবাদা, নরিতয়ে দিল্লির বোলিংয়ের সেরা অস্ত্র। সেই রাবাদাই প্রথমে ধাক্কা দেন ব্যাঙ্গালোর ইনিংসে। জশ ফিলিপকে (১২) ফেরান দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পেসার। কোহালির ব্যাটের দিকে তাকিয়েছিল দল। ব্যক্তিগত ১৩ রানে কোহালি জীবন ফিরে পান। অক্ষয় পটেলের বলে লং অনে তাঁর ক্যাচ ছাড়েন নরতিয়ে। জীবন ফিরে পেয়েও বড় রান করতে পারেননি ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক (২৯)। অশ্বিনকে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে তিনি ধরা পড়েন স্টোইনিসের হাতে। টি টোয়েন্টিতে অশ্বিন প্রথম বার কোহালিকে আউট করলেন।
এ বারের টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে রয়েছেন দেবদত্ত পাড়িকল। ওপেন করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন। ৪১ বলে ৫০ রান করে নরতিয়ের বলে বোল্ড হন তিনি। সেই ওভারেই নরতিয়ে ফেরান ক্রিস মরিসকে (০)। এবি ডিভিলিয়ার্স দ্রুত ২১ বলে ৩৫ করে রান আউট হন। শিবম দুবে ১১ বলে ১৭ রান করে রাবাদার শিকার হন। দিল্লির বোলারদের মধ্যে রাবাদা ২টি এবং নরিতয়ে ৩টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা দিল্লির পৃথ্বী শ মহম্মদ সিরাজের দুরন্ত ডেলিভারিতে ৯ রানে ক্রিজ ছাড়েন। ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারালেও শিখর ধাওয়ান ও অজিঙ্ক রাহানে সামলে নেন ইনিংস। ব্যাঙ্গালোর বোলারদের উপরেই পাল্টা চাপের খেলা শুরু করে দেন দুই ব্যাটসম্যান। ধাওয়ান ও রাহানে ৮৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ক্রিজে জমে গিয়েছিলেন ধওয়ন (৫৪)। শাহবাজ আহমেদের বলে হতশ্রী শট খেলে আউট হন দিল্লির ওপেনার। সেই সময়ে উইকেটের দরকার ছিল ব্যাঙ্গালোরের। ধাওয়ান আউট হওয়ার পরে দিল্লির ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেন রাহানে। ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়া উচিত ছিল তাঁর। তিনিও নিজের উইকেট ছুড়ে দেন। শ্রেয়াস আইয়ারও (৭) দ্রুত ফেরেন। বাকি কাজটা সারেন স্টোইনিস ও ঋষভ প্যান্ট।
এএন/০১