সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ০৭, ২০২০
১১:১২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০৭, ২০২০
১১:১২ পূর্বাহ্ন
শুক্রবার আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের আশা টিকিয়ে রেখেছে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ। আগামীকাল রবিবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষেত তাদের ফাইনালে যাওয়ার লড়াই।
জয়ের জন্য মাত্র ১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সানরাজার্স হায়দারাবাদ। ১২তম ওভারে ৬৭ রানেউ হারায় ৪ উইকেট। ক্রমশ চাপ বাড়তে থাকা অবস্থায় মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরিস্থিতি সামলান কেন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে শেষ ওভারে দলকে পাইয়ে দেন জয়। অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার তার ব্যাটিংকে বলছেন 'মাস্টারক্লাস'।
উইলিয়ামস ২ চার, ২ ছক্কায় করেছেন ৪৪ বলে ৫০ রান। তবে তার ইনিংসের মাহাত্ম এতেই বোঝা যাবে না। ব্যাঙ্গালোর বোলাররা তৈরি করেছিলেন চাপ। ওভারপ্রতি রান নেওয়ার তাড়াও বাড়ছিল দ্রুত। চারে নামা উইলিয়ামসন পরিস্থিতি সমালালেন ভালভাবে। সহজে রান বের করা যাচ্ছে না দেখে মুন্সিয়ানা দেখালেন তার টেকনিকের। নান্দনিক সব শটে তাক লাগিয়ে পরিস্থিতি আনলেন নিজের দিকে।
শেষ ৩ ওভারে ২৮ রানের প্রয়োজনটা জেসন হোল্ডারকে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় তুলে নিলেন। ম্যাচ শেষে তাই অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের কণ্ঠে উইলিয়ামসনের প্রতি ঝরল প্রশংসার ভান, ‘কেন আমাদের ব্যাঙ্কার। কী মাস্টারক্লাস খেলোয়াড় সে! সব সময় গভীরে গিয়ে পথ বের করে আনে। যখনই আমরা সমস্যায় পড়ি, সে দাঁড়িয়ে যায় এবং চাপের মধ্যে একটা ইনিংস খেলে দেয়। নিউজিল্যান্ডের হয়ে বছরের পর বছর সে তা করে চলেছে। তার উচ্চতা নিয়ে যথেষ্ট বলতে পারছি না।’
তবে সানরাইজার্সের হয়ে বড় কাজটা করে দেন তাদের বোলাররাই। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ছিলেন অসাধারণ। ওপেন করতে নেমা কোহলি আর দেবদূত পাড়িকালকে ১৫ রানের ভেতরই ফিরিয়ে দেন তিনি। ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ২৫ রানে পান ৩ উইকেট। তার তোপে এবিডি ভিলিয়ার্স আর অ্যারন ফিঞ্চ ছাড়া রান পাননি কেউই। প্রতিপক্ষকে ১৩১ রান আটকে দিয়েও ওয়ার্নার যুজভেন্দ্র চেহেল আর অ্যাডাম জাম্পার লেগ স্পিনের জন্যই চিন্তায় ছিলেন। তবে কেন উইলিয়ামসন আর জেসন হোল্ডার শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়ে চিন্তামুক্ত করেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে।
এএন/০২