বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
নভেম্বর ১১, ২০২০
০৯:৪৮ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০২০
১০:৫৯ অপরাহ্ন
সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশের দায়েরকৃত একটি মামলায় বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ৩২ নেতা-কর্মী হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেছেন।
আজ বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দ’র বেঞ্চে জামিন আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে তাদের ৪ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের বেঞ্চ। জামিন শুনানিতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে আদালতে ছিলেন এডভোকেট কামরুজ্জামান।
বিএনপির ৩২ নেতা-কর্মীর জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইলিয়াসপুত্র ব্যারিস্টার আবরাব ইলিয়াস অর্নব বলেন, ‘হাইকোর্ট আগামী ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বিশ্বনাথ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ৩২ নেতা-কর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছেন।’
জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে, উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান, উপজেলা বিএনপি নেতা আরব খান, জয়নাল আবেদীন, জানু মিয়া, পৌর বিএনপি নেতা আহেমদ-নূর উদ্দিন, আবদুর রহমান খালেদ, ফরিদ আহমদ, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম হান্দু মিয়া, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক গোবিন্দ মালাকার, যুবদল নেতা আবদুর রব সরকার, দৌলতপুর যুবদলের সভাপতি আব্দুর রউফ, যুবদল নেতা মিজবাহ খান, সুলতান খান, আবদুল মুমিন কালু, আনোয়ার হোসেন, জাকির আহমদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হোসাইন আহমেদ প্রবেল, সদস্য সুলতান মিয়া, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম রেজা, ছাত্রদল নেতা নিজাম উদ্দিন, তেরাব আলী, জাহেদ, হিফজুর রহমান, আতিনুর রহমান আতিকুর, দিলু মিয়া, বেলাল, মখলিছুর রহমান, রাশেদ মিয়া, লিফু মিয়া, রেজাউল করিম রাজু, সালমান, ছাইদুর রহমান।
প্রসঙ্গত, ১৭ বছর পর গত ২৯ অক্টোবর উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জবেদুর রহমানকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিএনপি প্রার্থী এমাদ উদ্দিন খান। ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মাছুখালি নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দশঘর নিজামুল উলুম উচ্চবিদ্যালয় যৌথ ভোটকেন্দ্রে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্স ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করতে চাইলে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ভাংচুর করা হয় নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত পিকআপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুলিশ।
ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগ এনে পরদিন ৩০ অক্টোবর বিশ্বনাথ থানার এসআই নূর হোসেন বাদী হয়ে বিএনপির ৩৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ও আরও ১২০ নেতা-কর্মীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। ইতোমধ্যে এ মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এমএ/বিএন-০৪/আরআর-০১
