সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ১৭, ২০২০
০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১৭, ২০২০
০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
এইডস আক্রান্ত হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসী স্বামী মৃত্যুবরণ করেন ২০১১ সালে। স্ত্রী সেজনা বেগম ও একমাত্র সন্তান আব্দুর রহমান ইয়াছিরও এইডস আক্রান্ত। স্বামীর মৃত্যুর পর দিশেহারা স্ত্রীর ওপর নেমে আসে স্বামীর পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন-নিপীড়ন। তাদের নির্যাতনে ভিটেমাটি ছাড়া দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়নের টিল্লাবাড়ির মৃত কাওছার আহমদের স্ত্রী সেজনা বেগম।
সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সেজনা বেগম নিজেই সাংবদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সেজনা বেগম তাঁর ওপর নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিধবা, একমাত্র সন্তানসহ আমি এইডস-এ আক্রান্ত। দানশীল মানুষের সহযোগিতায় কোনোরকমে দুমুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। আমার স্বামী মারা যাবার পর থেকে তাঁর মা, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী কর্তৃক আমি শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে থাকি। আমাকে স্বামীর ভিটে-মাটি ছাড়া করতে তারা উঠে পড়ে লাগে। এ বিষয়ে আমি গ্রাম্য সালিশে বিচার প্রার্থী হই। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি, স্বামীর পরিবারের লোকজন বিচার মানে না। তাঁরা হুমকি দিয়ে বলে আমার স্বামীর কোনো কৃষি জমি নেই, নেই কোনো সহায় সম্পত্তিও। একপর্যায়ে তারা সন্তানসহ আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেই।’
অসহায় সেজনা বেগম স্বামীর ভিটে-মাটি ফিরে পেতে বিভিন্ন মহলে ধরণা দিয়েছেন। আইনি অধিকার পেতে অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানায়। অভিযোগে দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়নের টিল্লাবাড়ির মো. মনফর আলীর ছেলে মো. জসিম উদ্দিন, মো. ফয়ছল আহমদের স্ত্রী রুবিনা বেগম, মৃত মিম্বর আলীর ছেলে মো. ফয়ছল আহমদ, মৃত মিম্বর আলীর স্ত্রী জমিলা খাতুন (৬৫)-এর নাম উল্লেখ করে আসামি করেছেন।
চলতি বছরের ২৯ ফেব্রæয়ারি থানায় অভিযোগ দায়েরের ৯ মাস পার হলেও রহস্যজনক কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মামুন মিয়া নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন সেজনা বেগম। শশুড়বাড়ির নির্যাতনের শিকার বিধবা সেজনা বেগম সন্তানকে বুকে নিয়ে জীবনের শেষ দিনগুলো স্বামীর ভিটায় কাটাতে চান। সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় চান ন্যায়বিচার এবং বেঁচে থাকার অধিকার।
বিএ-০৬