নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২১, ২০২০
০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২৩, ২০২০
১২:৫১ পূর্বাহ্ন
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস ও পরীক্ষা। এসএসসি, এইচএসসিসহ গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষাতেও অটোপাস দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই অবস্থায়ও সিলেট নগরের বন্দরবাজারে রাজা জিসি হাইস্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ মণিপুরি ছাত্র সমিতির আয়োজনে শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সিলেটের রাজা জি সি উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘প্রাইমারী ও জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষা’ অনুষ্ঠিত হয়। শুধু সিলেট নগরেই নয়, বিভাগের হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা ও মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় একসঙ্গে এই বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা আয়োজনের কথা জানায় বাংলাদেশ মণিপুরি ছাত্র সমিতি। ২০০৫ সালের পর আর এই পরীক্ষা আর অনুষ্ঠিত না হলেও দীর্ঘ ১৫ বছর পর শুক্রবার করোনা মহামারীর মধ্যেই এই পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করেও আসন্ন শীত মওসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশংকার কারণে শেষ মুহূর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও বাড়ানো হয়। করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্কুল বন্ধ রাখার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, ‘স্কুল খুলে দিয়ে এই মুহূর্তে বাচ্চাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না।’
করোনার ঝুঁকি থেকে বাচ্চাদের বাঁচাতে বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হলেও বন্ধ বিদ্যালয়েই বৃত্তি পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাও আবার প্রাথমিক ও জুনিয়র স্তরের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে।
পরীক্ষার কেন্দ্র রাজা জি.সি. উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মোমিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মোমিত সিলেট মিররকে বলেন, ‘বাংলাদেশ মণিপুরী ছাত্র সমিতি নামের একটি সংগঠন জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের অনুমতি নিয়ে আসেন। অনুমতিপত্র দেখিয়ে আমার কাছে তারা কক্ষ বরাদ্দ চান। যেহেতু জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি আছে, তাই আমি কক্ষ বরাদ্দ দিয়েছি। আমি আর কোনো কিছু জানতে চাইনি।’
এ বিষয়ে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ. ন. ম বদরুদ্দোজার কাছে জানতে চাইলে তিনি সিলেট মিররকে বলেন, ‘বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের জন্য অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তুএ বিষয়ে আমি বিস্তারিত কিছু জানি না। অসুস্থতার কারণে গত সপ্তাহে আমি অফিসে যেতে পারিনি।’
আরসি/বিএ-০৩