সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ২৩, ২০২০
১১:৪৪ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২৪, ২০২০
০১:২৬ পূর্বাহ্ন
সিলেট নগরের কাজীটুলা এলাকা থেকে এক নববধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নববধূর নাম সৈয়দা তামান্না বেগম (১৯)। আজ সোমবার (২৩ নভেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে উত্তর কাজিটুলা এলাকার অন্তরঙ্গ এ/৪ বাসার তালাবদ্ধ একটি ঘর থেকে নববধুর লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত তামান্না দক্ষিণ সুরমা থানার ফুলদি এলাকার সৈয়দ ফয়জুর রহমানের মেয়ে। স্বামীর নাম মো. আল মামুন (২৮) পালাতক রয়েছেন। মামুন বরিশালের হোগলার চরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে গতকাল রবিবার (২২ নভেম্বর) রাত ১০টার পর কোনো একসময় তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন জানান, গতকাল রবিবার রাত ৯টার দিকে তামান্নার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় তার মায়ের। তখন প্রতিদিনকার মত স্বাভাবিক কথাবার্তা হয়। আজ সকাল থেকে তামান্না ও তার স্বামী আল মামুনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এমনকি মামুনের আত্মীয় স্বজনেরও মোবাইল বন্ধ মিলছিল। এতে সন্দেহ দেখা দেয় তাদের। দুপুরের দিকে পুলিশ নিয়ে কাজীটুলার ভাড়া বাসায় গিয়ে বাইরে থেকে দরজা তালাবদ্ধ দেখতে পান তারা। পরে দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায় বিছানায় তামান্নার মরদেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গলায় কিছু পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে তামান্নাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পালাতক রয়েছেন।’
তিনি জানান, পারিবারিকভাবে দুই মাস আগে তামান্নার বিয়ে হয়েছিল। স্বামী আল-মামুনের নগরের জিন্দাবাজারের আল মারজান শপিং সেন্টারে ঐশী ফেব্রিক্স নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছেন। বিয়ের আগের দিন ২৯ সেপ্টেম্বর আল মামুন কাজীটুলার বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন।
এই ঘটনায় দুই পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে পরে বিস্তারিত বিষয়ে জানা যাবে।’
আরসি-১২