ইয়েমেনে হুতিদের হাতে ৯ মাস ধরে ৫ বাংলাদেশি বন্দি

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ২৯, ২০২০
০৩:১৪ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৯, ২০২০
০৩:২২ অপরাহ্ন



ইয়েমেনে হুতিদের হাতে ৯ মাস ধরে ৫ বাংলাদেশি বন্দি

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কাছে প্রায় ৯ মাস ধরে বন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ৫ বাংলাদেশিসহ ২০ জন নাবিক।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, ওই বন্দিদের মধ্যে ভারতের কেরালার ২ জন, ৭ জন, মহারাষ্ট্রের, ২ জুন তামিল নাড়ুর, একজন করে পুডুচেরি এবং উত্তর প্রদেশের।

বাকি থাকে সাতজন। এই সাতজনের ঠিক কত জন বাংলাদেশি তা এক্সপ্রেস নিশ্চিত করতে পারেনি। এর মধ্যে আবার মিশরের নাগরিকও আছেন।

ভারতীয় দূতাবাস সূত্রে পরে জানা গেছে, বাকি সাতজনের ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

ইয়েমেনের রাজধানী সানায় সেই ফেব্রুয়ারিতে ২০ নাবিককে আটক করে হুতিরা। তিনটি জাহাজে ওমান থেকে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে তাদের বন্দি করা হয়।

গৃহযুদ্ধ পর্যুদস্ত ইয়েমেনের রাজধানী সানা হুতিদের দখলে। বিভিন্ন সময়ে এভাবে বিদেশি নাগরিকদের আটক করে মুক্তিপণ আদায় করে তারা।

বাংলাদেশিসহ এই বন্দিদের পাঁচতলা হোটেলের চারটি রুমে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়েছেন, ‘আমরা সৌদি আরবের ইয়ানবু বন্দরের দিকে যাচ্ছিলাম। কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য। যাত্রাপথে খবর পাই লোহিত সাগরে একটি জাহাজ ডুবে গেছে।’

‘আমরা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ইয়েমেন কোস্টে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে নোঙর করি। হঠাৎ কয়েক জন কোস্টগার্ড পরিচয় দিয়ে আমাদের সানায় নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি তারা হুতি বিদ্রোহী। ইয়েমেনের জলসীমায় প্রবেশের দায়ে তারা আমাদের গ্রেপ্তারের কথা জানায়।’

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, জাহাজ তিনটির মালিকেরা নাবিকদের ছাড়াতে কোনো চেষ্টা করছেন না। ওমানি মালিকদের থেকে বিদ্রোহীরা ২ লাখ রিয়াল দাবি করেছে। কিন্তু মালিকপক্ষ সেটি দিতে নারাজ।

মালিকপক্ষ বলছে, বিষয়টি এখন সরকারের হাতে।

ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা চার মাস আগে বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সবাইকে মুক্ত করা হবে। কর্মকর্তারা চেষ্টা করছেন, বন্দিদের সরকার নিয়ন্ত্রিত কোনো জায়গায় এনে রাখতে।

ভয়ে কাটছে দিন: বন্দিরা বলছেন তারা ঠিক জেলখানার মতো আটকা আছেন। ভেতরে কাউকে যেতে দেয়া হয় না। বাইরে থেকে লোক এসে খাবার দিয়ে যায়। প্রতিদিন বাইরে গোলাগুলির শব্দ পান!

ওদিকে সেই ফেব্রুয়ারি থেকে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো বেতন পাঠানো হচ্ছে না। এতে প্রবাসীরা তাদের পরিবার নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়।

 

 

এএফ/০১