স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ২৯, ২০২০
১১:৫৩ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৯, ২০২০
১১:৫৩ অপরাহ্ন



স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

সিলেট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায় ফখরুল আলমের প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন খাদিম নগর ইউনিয়নের ছালিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ। ফখরুল আলমের ব্যবসার অংশীদার হয়ে মূলধনের ১০ লাখ টাকা ফেরত পাচ্ছেন না তিনি। উল্টো ফখরুল ও তার পরিবারের সদস্যরা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছেন। রবিবার (২৯ নভেম্বর) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন খাদিম নগর ইউনিয়নের ছালিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ।

সংবাদ সম্মেলনে আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি দীর্ঘদিন আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ছিলেন। দেশে ফিরে  ২০১৬ সালে ফখরুল আলমের সঙ্গে পাথরের ব্যবসা শুরু করেন। এ সময় ফখরুল আলমকে নগদ ১০ লাখ টাকা দেন তিনি। ২০১৮ পর্যন্ত ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল। এরপর তিনি নিজে ব্যবসা থেকে আলাদা হয়ে যান। এ সময় ফখরুল আলম আবুল কালাম আজাদের মূলধনের ১০ লাখ টাকা লভ্যাংশসহ কিস্তিতে পরিশোধের অঙ্গীকার করেন। গত ২০ আগস্ট ১০ লাখ টাকার চেক দেন ফখরুল। কিন্তু একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেক ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগও দেন আবুল কালাম আজাদ। যৌথভাবে কেনা একটি মোটরসাইকেলের অর্ধেক ৩০ হাজার টাকাও ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি টাকা দিয়ে উল্টো থানায় আবুল কালামের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। 

গত ২৩ নভেম্বর একটি মামলায় আবুল কালামকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে চালান দেওয়া হয়। জেল থেকে বের হয়ে তিনি জানতে পারেন দায়েরকৃত জিডির প্রেক্ষিতে সমন জারি হয়েছে এবং আবুল কালাম সমনের কপি পেয়েছেন। সমন প্রাপ্তির যে পত্রে আবুল কালামের যে স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে, আসলে  সেটি আবুল কালামের নয়। 

এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপ পরিদর্শক অমিত মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এমন জালিয়াতি করেছেন বলে মনে করেন আবুল কালাম আজাদ। তদন্তকালে তিনি আবুল কালাম আজাদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছিলেন বলেও জানান আবুল কালাম। 

বিএ-১৬