এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলায় চার্জশিট প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক


ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
০১:৪০ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
০১:৪০ অপরাহ্ন



এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলায় চার্জশিট প্রদান

সিলেট এমসি কলেজেরে ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে প্রদান করা হয়েছে। 

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার ৭০ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আবুল কাশেমের আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

অভিযোগপত্র প্রদানের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের।

তিনি বলেন, আজ সকালে আদালতে অভিযোপত্র প্রদান করা হয়েছে, সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ)-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

পুলিশ জানায়, অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আটজনের জনের মধ্যে ছয়জন ধর্ষণে সরাসরি জড়িত, বাকিরা সহযোগিতা করেছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমানকে। এছাড়া এ মামলায় সকলেই গ্রেপ্তার রয়েছেন।

সরাসরি জড়িতরা হলেন-  সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া। আর রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী (২৫)।

করোনার কারণে বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর তাদের মারধর করে টাকাপয়সাও ছিনিয়ে নেয় ধর্ষকরা।

ওই রাতেই নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেন। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। 

মামলায় আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

মামলা দায়েরের পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও ঘটনার ৩ দিনের মধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম তারেক, মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কোনো পদে না থাকলেও গ্রেপ্তার হওয়া সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে স্থানীয় ও কলেজ সূত্রে জানা যায়।

গ্রেপ্তারের পর তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে সকলেই ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

বিএ-০৮