কানাইঘাট প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
০১:৩১ পূর্বাহ্ন

আপডেট : ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
০১:৩১ পূর্বাহ্ন

সিলেটের কানাইঘাটে স্ত্রীকে 'আত্মহত্যায়' প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে স্বামী হবিব আহমদকে গতকাল শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সাউদ গ্রামের মৃত মছদ আলীর পুত্র হাবিব আহমদ বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তার স্ত্রী এক সন্তানের জননী মজনুফা আক্তারকে (২৩) যৌতুকসহ নানা কারণে নির্যাতন করতেন। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হবিব আহমদ মুলাগুল বাজারে গিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য তমিজ উদ্দিনকে বলেন, তার স্ত্রী মজনুফা আক্তার আত্মহত্যা করেছেন। বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে একই গ্রামের রইছ উদ্দিনের পুত্র হারুন রশিদসহ পরিবারের লোকজন মজনুফা আক্তারকে তার স্বামী হবিব আহমদ গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি করে মুলাগুল বাজারে তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হবিব আহমদকে আটকের পাশাপাশি মজনুফার লাশ হবিব আহমদের বাড়ির রান্নাঘরের বর্গার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য আজ শনিবার মজনুফার লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

কানাইঘাট থানার এসআই স্বপন চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামী হবিব আহমদকে গ্রেপ্তার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আত্মহত্যাকারী মজনুফা আক্তারের ভাই হারুন রশিদ এ মামলায় বাদী হয়েছেন। মজনুফা আক্তারের আড়াই বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তার পরিবারের দাবি, মজনুফাকে স্বামী হবিব আহমদ শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন। প্রায় সময়ই হবিব স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। অপরদিকে হবিব আহমদের পরিবারের দাবি, মজনুফা আক্তার আত্মহত্যা করেছেন। তিনি যখন আত্মহত্যা করেন তখন বসতঘরের কক্ষের দরজায় ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।

এমআর/আরআর-০৯