বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির ৩২ নেতা-কর্মীর জামিন

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
০৮:০১ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
০১:২৬ পূর্বাহ্ন



বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির ৩২ নেতা-কর্মীর জামিন

গত ২৯ অক্টোবর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন সরকারি কাজে বাধা, প্রিজাইডিং অফিসারসহ সরকারি কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে পুলিশের ওপর হামলা ও নির্বাচনী সরঞ্জাম বহনকারী ভাংচুর করার অভিযোগে পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিনে ছিলেন বিশ্বনাথ বিএনপির ৩২ নেতাকর্মী। ওই মামলায় নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে জামিন মঞ্জুরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট কাওছার আহমদের আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এ কে এম সামিউল ইসলাম।

জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান, উপজেলা বিএনপি নেতা আরব খান, জয়নাল আবেদীন, জানু মিয়া, পৌর বিএনপি নেতা আহেমদ নূর উদ্দিন, আবদুর রহমান খালেদ, ফরিদ আহমদ, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম হান্দু মিয়া, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক গোবিন্দ মালাকার, যুবদল নেতা আবদুর রব সরকার, আব্দুর রউফ, মিজবাহ খান, সুলতান খান, আবদুল মুমিন কালু, আনোয়ার হোসেন, জাকির আহমদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক হোসাইন আহমেদ প্রবেল, সদস্য সুলতান মিয়া, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক ফখরুল ইসলাম রেজা, ছাত্রদল নেতা নিজাম উদ্দিন, তেরাব আলী, জাহেদ, হিফজুর রহমান, আতিনুর রহমান আতিকুর, দিলু মিয়া, বেলাল, মখলিছুর রহমান, রাশেদ মিয়া, লিফু মিয়া, রেজাউল করিম রাজু, সালমান ও ছাইদুর রহমান।

প্রসঙ্গত, ১৭ বছর পর গত ২৯ অক্টোবর উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জবেদুর রহমানকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিএনপি প্রার্থী এমাদ উদ্দিন খান। ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মাছুখালি নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দশঘর নিজামুল উলুম উচ্চবিদ্যালয় যৌথ ভোটকেন্দ্রে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্স ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করতে চাইলে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ভাংচুর করা হয় নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত পিকআপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। এমন অভিযোগ এনে পরদিন ৩০ অক্টোবর বিশ্বনাথ থানার এসআই নূর হোসেন বাদী হয়ে বিএনপির ৩৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ও আরও বিএনপির ১২০ নেতা-কর্মীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গত ১১ নভেম্বর দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দ’র বেঞ্চে জামিন আবেদন করেন তারা। শুনানি শেষে তাদের ৪ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের বেঞ্চ। 

 

এমএ/বিএন-০৪/আরআর-০৪