ওসমানীনগর প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
০২:১৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
০২:১৬ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ওসমানীনগরে ভূমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এক প্রবাসীর পরিবার। এলাকার একটি পক্ষ ওই প্রবাসীর নিজ নামীয় ১০ শতক ভূমির দখল নিতে চালিয়ে যাচ্ছে নানা তৎপরতা। এ বিষয়ে আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে নতুন স্থাপনা নির্মাণে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে আজ শনিবার বিকেলে ওসমানীনগর প্রেসক্লাবে প্রবাসী আব্দুল হকের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ভাগ্নে সুমন মিয়া।
উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের নতুনবাজার এলাকার তাজপুর গ্রামের ওয়াছির রহমানের পুত্র সুমন মিয়া লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৩ বছর ধরে নতুন বাজার এলাকায় প্রবাসী আব্দুল হকের ১০ শতক ভূমি দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে একটি মহল। এ বিষয়ে আব্দুল হক বাদী হয়ে ২০১৭ সালে আদালতে মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর আব্দুল হকের পক্ষে রায় প্রদান করা হয়। সম্প্রতি আদালতের রায় উপেক্ষা করে স্থানীয় সৈয়দুল ইসলাম ও আলী হোসেনসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আব্দুল হকের ভূমিতে থাকা টিনশেডের দোকানকোঠা দখলে আবারও চেষ্টা চালায় এবং নতুন স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেয়। গত ১৮ নভেম্বর সকালে উল্লেখিত ভূমিতে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে সৈয়দুল ইসলাম সৈয়দ ও মুহিবুর রহমান এপ্যালের নেতৃত্বে তাদের নিযুক্ত ভাড়াটে সন্ত্রাসীরাসহ শ্রমিকদের ওপর হামলা ও নির্মাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। থানার পুলিশ বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে আলী হোসেনকে অভিযুক্ত করে ২০ নভেম্বর এ ব্যাপারে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে, যার নম্বর ৫৩/২০২০।
সুমন মিয়া বলেন, অভিযুক্ত সৈয়দুল ইসলাম বিভিন্ন জায়গা থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে নতুন বাজার এলাকাসহ আমার নানাবাড়ির পাশে মহড়া দিচ্ছে। স্থানীয় ব্যক্তিত্বরা বিষয়টি আপসে নিষ্পত্তির চেষ্টা চালালেও সৈয়দুল ইসলামরা কাউকে পাত্তা দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে আমার মামা আব্দুল হক আদালতের রায়কৃত ভূমিতে স্থাপনা নির্মাণে বাধা ও দেশে অবস্থানরত তার স্বজনদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের বিষয়ে গত ১০ ডিসেম্বর সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি'র কার্যালয়ের প্রবাসীকল্যাণ সেলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সৈয়দুল ইসলাম সৈয়দ ও তার পুত্র মুহিবুর রহমান এপ্যাল এলাকার চিহ্নিত জালিয়াত চক্র। তাদের ভয়ে সর্বদা এলাকার লোকজনকে থাকতে হয় আতঙ্কিত। যেকোনো সময় সৈয়দুল ইসলামসহ তার নিযুক্ত ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা ওই জায়গায় প্রবেশ করে নির্মাণসামগ্রী নিয়ে যেতে পারে। এজন্য আমরা নিরাপত্তাহীনতাসহ বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা করছি।
ইউডি/আরআর-১৮