উজ্জ্বল ধর, ওসমানীনগর
ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
১১:২০ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
১১:২০ অপরাহ্ন
সিলেটের ওসমানীনগরে খোলা জায়গার যেদিকেই চোখ যায় শুধু ধান আর ধান। উপজেলায় এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। মাঠের পাকা ধান ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এখন কৃষকরা। ইতোমধ্যে আবাদকৃত মোট জমির ৮০ শতাংশের ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মোট ৮ হাজার ২৫৬ জমি আমন ধানের চাষের উপযুক্ত থাকলেও এ বছর মোট হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি ধান-৪৯, ৩২, বিআর-১১, ৩৯, বীনা-১৬ ও ১৭ জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে। কিছু কিছু জমিতে বিন্নি (বিরোইন), জারিশাইল ও বালাম জাতের ধানের চাষ করেছেন সৌখিন কৃষকরা। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। ধান মাড়ানোর কাজে এখন ব্যস্ত কৃষক পরিবারগুলো। তাই নবান্ন উৎসবের হাতছানি ধরা পড়ছে কৃষকবধূর হাস্যোজ্জ্বল মুখে।
উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুরের কৃষক আঙ্গুর মিয়া বলেন, ‘গতবছরের তুলনায় এ বছর ধানের ভালো ফলনে আমরা খুবই খুশি। পাকা ধানগুলো কেটে এখন ঘরে তুলছি।’
উসমানপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল্লাহ মিয়া বলেন, ‘এ বছর রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমি ইতোমধ্যে বেশিরভাগ ধান ঘরে তুলেছি। বাকি ধান অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই কাটা হবে।’
সরকারের ধান কেনা কার্যক্রমে দালাল শ্রেণির দাপট বেড়ে যাওয়ায় গত মৌসুমে ধানের সঠিক মূল্য পাননি প্রকৃত কৃষকরা। চলতি মৌসুমে বৈরি আবহাওয়া ও অনেক কৃষক চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় এবার আমনের আবাদ কম হয়েছে বলে কৃষি সংশ্লিষ্টদের ধারণা। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অভাবে বছরের পর বছর এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে থাকছে। খাল খননসহ আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আর অনাবাদি জমিগুলো চাষের আওতায় আনতে পারলে বছরে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন সম্ভব বলে অভিমত তাদের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) সুমন মিয়া বলেন, ‘এ বছর অপেক্ষাকৃত কম জমিতে আমনের চাষাবাদ করা হয়েছে। তবে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হওয়ায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। চাষাবাদকৃত জমি থেকে ৩৪ হাজার ৩শ ৬৭ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পড়ে থাকা অনাবাদি জমি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অব্যবহৃত জমিগুলো চাষের আওতায় আনতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। উর্ধ্বতন মহল থেকে সহযোগিতা পেলে আগামীতে ওসমানীনগরে ধানী জমির পরিমাণ বাড়বে।’
ইউডি/আরআর-০১