সড়ক অবরোধের প্রতিবাদে জৈন্তাপুরে সমাবেশ

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
০২:২১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১৬, ২০২০
০২:২১ পূর্বাহ্ন



সড়ক অবরোধের প্রতিবাদে জৈন্তাপুরে সমাবেশ

সিলেটের জৈন্তাপুরে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির প্রতিবাদে জৈন্তাপুর উপজেলার বটতলায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন 'জৈন্তাপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনতা'।

আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় জৈন্তাপুর বটতলায় জৈন্তাপুর উপজেলাবাসীর আয়োজনে এ প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

১৭ পরগনার মুরুব্বি মাওলানা রহমতুল্লাহ'র সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুবেল শরিফের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বত্তব্য দেন, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল, ১৭ পরগনার মুরুব্বি আব্দুস শুক্কুর, আব্দুল হক, মহিবুর রহমান, আমিন আহমদ, শ্রমিক নেতা আব্দুর রব, বাস-মিনিবাস চালক ও মালিক সমিতির উপদেষ্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া মাহমুদ, ইউপি সদস্য আব্দুর রকিব, শ্রমিক লীগের সভাপতি ফারুক আহমদ, ছাত্রনেতা সুভাস দাস বাবলু, আমিন আহমদ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক সুনির্দিষ্ট ও সরকারি নিয়ম মোতাবেক জৈন্তাপুর উপজেলার বালুমহাল সারী নদীকে ৩টি ভাগে বিভক্ত করে দু'টি অংশ সারী-১, সারী-২ এবং বড় নয়াগাং নদী ইজারা প্রদান করেছেন। মামলা অধিভুক্ত থাকায় সারী-৩ এর ইজারা প্রদান করা হয়নি। সম্প্রতি ইজারা প্রদানের পর হতে ট্রাকচালকদের একটি গোষ্ঠী সরকারি রয়েলিটি ফাঁকি দিতে ইজারাদারের ইজারা না দিয়ে ট্রাকবোঝাই করে অবৈধভাবে বালু লুট করে নিয়ে যায়। রয়েলিটি না দেওয়ার জের ধরে তাদের জেলা নেতৃবৃন্দের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ মদদে বিনা কারণে যখন-তখন সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এছাড়া ইতোপূর্বে তারা অন্তত ৫ হতে ৭ বার তারা সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করে। সর্বশেষ তারা গত ১২ ডিসেম্বর দিন-রাত ২৪ ঘন্টা তারা সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফলে রাস্তার উভয়পাশে শত শত যাত্রীবাহী পরিবহন, পর্যটকবাহী গাড়ি, মালবাহী আন্তঃজেলা ট্রাক, রোগীবাহী পরিবহন এবং সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা আটকা পড়েন। একটি গোষ্ঠীর অবৈধ কাজের ফলে গোটা উপজেলার সাধারণ মানুষ জিম্মি।

তারা বলেন, ইজারাদার যদি অবৈধভাবে তাদের নিকট হতে ইজারার নামে রয়েলিটি আদায় করে, তাহলে নিজেদের গাড়ি বন্ধ রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের দাবি আদায়ের জন্য নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করলে এলাকাবাসীকে তাদের সঙ্গে পাবে। কিন্তু তা না করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারি রয়েলিটি ফাঁকি দিতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করে জৈন্তাপুর অঞ্চলের মানুষজনকে জিম্মি করে তাদের স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাইওয়ে পুলিশ, থানা পুলিশ, জেলা প্রশাসন নিরবতা পালন করছে। অপরদিকে গত ১৩ ডিসেম্বর হতে জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ উপরের নির্দেশের অজুহাতে সারী-১, সারী-২ এবং বড়গাং নদীর বৈধ ইজারাদারকে কোনো প্রকার নোটিশ না দিয়ে ট্রাক শ্রমিকদের পক্ষপাতিত্ব করে বৈধ বালুমহালে বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে। আজকের প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাইছি, এখন থেকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক যদি অযৌক্তিকভাবে অবরোধ করা হয়, তাহলে বৃহত্তর জৈন্তাপুরবাসী এর সমুচিত জবাব দেবে। সেই সঙ্গে এর দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।   

 

আরকে/আরআর-১১