নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ০১, ২০২১
১০:১৬ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ০১, ২০২১
১০:২২ অপরাহ্ন
নতুন বই হাতে পেলে এমনভাবেই উচ্ছাস প্রকাশ করেন সিলেটের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবিটি ২০১৯ সালের নগরের একটি বিদ্যালয় থেকে তোলা। -সিলেট মিরর
বছরের আজ প্রথম দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন। যতবুও বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উৎসবমুখরহীন পরিবেশে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরণ হচ্ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন পাঠ্যবই নিচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। কোনো শোরগোল ছাড়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। করোনার সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বই সংগ্রহের জন্য ফের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়েছে।
সারাদেশের মতো আজ শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সিলেটের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া শুরু হয়েছে। সকালে নগরের সরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে নতুন বই তুলে দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম। এছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতেও বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সরকারের পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত মেনে ১ জানুয়ারি সকাল থেকে সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন বই নিতে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। সকাল থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে অভিভাবকেরা এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজে গিয়ে বই বিতরণের কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার একেকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তিন দিন করে বই দেওয়া হবে। এভাবে মাধ্যমিকে বই বিতরণ চলবে ১২ দিন ধরে। যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কম, সেখানে একদিনেই বই দেওয়া হবে। আর যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী তুলনামূলক বেশি, সেখানে তিন দিনে বই দেওয়া হবে।
সিলেট জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলায় এবার মাধ্যমিক স্তরে মোট বইয়ের চাহিদা ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ৬৪৮, দাখিল স্তরে ৯২ হাজার ৯৫৯ আর এবতেদায়ী স্তরে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৭৫৮। সবমিলিয়ে মোট বইয়ের চাহিদা ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৬৫ কপি।
আর সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার প্রাক-প্রাথমিকে মোট বইয়ের চাহিদা ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৬২৬ কপি।
আরসি-১১