নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ০২, ২০২১
০৭:০২ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ০২, ২০২১
০৭:২৫ অপরাহ্ন
সিলেটে লন্ডন থেকে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য পাঁচটি হোটেল নির্ধাারণ করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুইতিনটি হোটেল নির্ধারণের জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার সকালে সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে বই বিতরণ কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘লন্ডন ফেরত যাত্রীদের জন্য ইতোমধ্যে সিলেটে ৫টি হোটেল নির্ধারণ করা হয়েছে। আরও দুই তিনটা লাগবে। যাত্রীরা আসার পর বিমানবন্দরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বিআরটিসি বাসে করে হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হবে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের তত্ত¡াবধানে তাদের হোটেলে পাঠানো হবে।’ কোয়ারেন্টিনের সিদ্ধান্ত গতকাল শুক্রবার থেকে কার্যকর করার কথা থাকলেও গতকাল যুক্তরাজ্য থেকে কোনো ফ্লাইট আসেনি।
গত বুধবার সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান এনডিসি জানান, যুক্তরাজ্য ফেরত যাত্রীরা ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। যারা কোয়ারেন্টিনের খরচ দিতে পারবেন না তারা থাকবেন সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে থাকা সিলেটের শাহপরাণ এলাকার বিআরডিটিআই ক্যাম্পে। যারা টাকা দিয়ে মোটামুটি মানের হোটেলে থাকতে চাইবেন তাদের জন্য সে রকম ব্যবস্থা করা হবে এবং যারা নিজ খরচে ভালো হোটেলে থাকতে চাইবেন তাদের জন্য ভালো হোটেলের ব্যবস্থা করা হবে। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ তাদের দেখভাল করবেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘লন্ডন থেকে আসা যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ থাকুক আর না থাকুক সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। সিলেটে আগামী ৪ জানুয়ারি ফ্লাইট আসবে। আমরা হিসেব করে দেখেছি প্রতি ফ্লাইটে ১৬০-১৭০ জন যাত্রী সিলেটে আসেন। সিলেটে সপ্তাহে লন্ডন থেকে দুইটি ফ্লাইট আসে। ১৪ দিন যদি কোয়ারেন্টিনে রাখতে হয় সেক্ষেত্রে আমাদের প্রায় ৬৫০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। সে হিসাবে আমরা ৭০০ জন যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করেছি। প্রত্যেক হোটেলেই পুলিশ রাখা হবে যাতে যাত্রীদের আতœীয়-স্বজনরা হোটেলে না আসতে পারেন।’ সিলেটবাসীর স্বার্থে প্রবাসী ও তাদের পরিবারকে এই ১৪ দিন কষ্ট স্বীকারের অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে সিলেট হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউজ ওনার্স গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আল মুক্তাদির সিলেট মিররকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেলের তালিকা পাঠাতে বলেন। গতকাল শুক্রবার আমরা মহানগরে অবস্থিত ১০টি হোটেলের নাম পাঠিয়েছি। তবে কতগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে তা এখনও জানি না।’
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের সিলেট মিররকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হোটেল স্টার প্যাসিফিক এবং হোটেল হলি গেইটের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ হয়েছে। আগামী সোমবার হোটেল দুইটিতে যাত্রী উঠলে নিরাপত্তা ও নজরদারির ব্যবস্থা করবে পুলিশ।’
এনএইচ/আরসি-০৯